—প্রতীকী চিত্র।
তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু রাগ করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। স্ত্রীর মানভঞ্জন করে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে যান স্বামী। বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। শ্বশুরবাড়ি ঢোকার আগেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় স্বামীর। কিন্তু আর কোনও কথা না বলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর শুক্রবার ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন রন্তু দাস নামে ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস তিনেক আগে সুতির বাসিন্দা বছর পঁচিশের যুবক রন্তুর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর জানা যায়, এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল রন্তুর স্ত্রীর। বিয়ের পরেও সেই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। এ নিয়ে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। অশান্তির জেরে গত ২৭ অগস্ট রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। তার পর বেশ কিছু দিন যোগাযোগ ছিল না দম্পতির। বৃহস্পতিবার রন্তু ঠিক করেন স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনবেন। রওনা হন শ্বশুরবাড়ির দিকে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার রাস্তাতেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিককে দেখতে পান রন্তু। এর পর কিছু না বলে বাড়ি ফিরে আসেন।
রন্তুর পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ছেলের মানসিক অবস্থা খারাপ ভেবে কেউ তাঁকে আর বিরক্ত করেননি। কিন্তু সকালেও ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না দেখে দরজা ভাঙা হয়। উদ্ধার হয় রন্তুর ঝুলন্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের ভাই আকাশ দাস বলেন, ‘‘বৌদি বিয়ের আগে যে যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলেন বিয়ের পরেও তাঁর সঙ্গে নতুন করে আবার সম্পর্ক তৈরি করেন। সেই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৌদিকে ওই যুবকের সঙ্গে সামনে থেকে দেখার পরে আর মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেনি দাদা। আত্মহত্যা করে ও।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy