কাজের জন্য গ্রাম থেকে দু’দশক আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন শামসুল মণ্ডল। তখন তিনি যুবক। তার পরে আর খোঁজ মেলেনি শামসুলের। পরিবার তাঁকে ‘মৃত’ বলে ধরে নিয়েছিল। দু’বছর আগে হয়েছিল পারলৌকিক কাজ। এর পরে বুধবার সকালে নদিয়ার করিমপুরে আচমকাই বাড়ি এসে হাজির হন শামসুল। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়ার নথি জোগাড়ের জন্যই শামসুল আবার বাড়িতে ফিরেছেন।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, শামসুলের বয়স এখন ৪০-এর বেশি। প্রায় দু’দশক আগে কাজের সন্ধানে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। বাকিরা ফিরে এলেও তিনি ফেরেননি। পরে পরিবারের কাছে খবর আসে, যে শামসুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে তখন তাঁর স্ত্রী এবং এক কন্যাসন্তান। খোঁজাখুঁজি করেও শামসুলের বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পরিবারের হাতে আসেনি। ফলে তারা তাঁকে ‘মৃত’ বলে ধরে নিয়েছিল।
শামসুল জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। নথি নিতেই তিনি বাড়ি এসেছেন। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ভোটার তালিকায় শামসুলের নাম না-থাকলেও তাঁর বাবা লুজবল এবং মায়ের নাম রয়েছে। শামসুলের ভাই টিঙ্কু মণ্ডল বলেন, ‘‘২০০০ সালের পরে ভাই বাড়ি থেকে চলে যায়। ওর সঙ্গে যারা কাজে গিয়েছিল, তারাও ওর খোঁজ পায়নি। প্রথমে ভেবেছিলাম নিখোঁজ, দীর্ঘদিন খোঁজ না পেয়ে ভেবেছিলাম মারা গেছে। বৌদি ও ভাইঝি তখনই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এখন কোথায় আছে জানি না। এসআইআরের নথি নিতে হয়তো এসেছে। তবে কী কারণে এসেছে সেটা বড় কথা নয়, বাড়ি ফিরেছে এটাই বড়।’’ দীর্ঘ দিন পরে বাড়ি ফিরে এসে শামসুল বলেন, ‘‘কিছু প্রয়োজন রয়েছে। তাই বাড়ি এসেছি। আমার শরীর ভাল না। এখানেই থেকে যাব। ভোটার তালিকার সব কাগজ ঠিক করতে হবে।’’