কেউ খেতে বসেছিলেন, কেউ বা খাওয়ার পরে একটু গা এলিয়ে দিয়েছিলেন বিছানায়।
হঠাৎই আর্তনাদ— ‘আগুন’। শব্দটা ঠাহর করে ঘর থেকে যত ক্ষণে বেরিয়েছেন, আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বেশ ক’জনের চালায়। হাওয়ার দাপটে নিমেষে আরও ভয়াবহ চেহারা নেয় তা। জলের ব্যবস্থা করার আগেই পুড়ে খাক ২০-২৫টা কাঁচা বাড়ি।
শনিবার বিকাল ৩টে নাগাদ চাপড়ার গোয়ালডাঙা গ্রামের ঘটনা। ঘরবাড়ি এবং আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও হতাহতের খবর নেই। তবে দু’একটি ছাগল-মুরগী আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে। ঘটনার ঘন্টা খানেক পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্বে আনে।
নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলছেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করা হচ্ছে। রবিবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে কদম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির ছেলের শুক্রবার বিয়ে হয়েছে। শনিবার তাঁর বাড়িতে ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। দুপুর থেকে অতিথিদের খাওয়াদাওয়া চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল তিনটে নাগাদ কদম মণ্ডলের বাড়ির পিছনে একটি পাটকাঠির গাদায় আগুন লাগে। পরে সেখান থেকে অন্যান্য বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
কদম মণ্ডলের ছেলে বকুল মন্ডল বলেন, “বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান চলছিল। হয়তো কেউ বিড়ি খেয়ে পাটকাঠির গাদার পাশে ফেলেছিল। আর তা থেকেই পাটকাঠির গাদায় আগুন ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিয়েবাড়ির প্যান্ডেলেও।”
গ্রামের বাসিন্দা অলিদ হোসেন বলেন, ‘‘হইচই হতেই ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আগুন ধেয়ে আসছে। চোখের পলকে সব খেয়ে গেল। ঘরের কিচ্ছুটি বাঁচাতে পারলাম না।’’