মতিরুল বিশ্বাস খুনে গোপন জবানবন্দি দিতে চান তাঁর স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।
স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রী গোপন জবানবন্দি দিতে চান। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সেই আবেদন জানালেন নদিয়ার নারায়ণপুরের তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস। পুলিশের তরফে সেই আবেদন জমা দেওয়া হবে বহরমপুরের ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।
সোমবার রিনার সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠান সার্কেল ইনস্পেক্টর (সদর) আনন্দময় চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এই প্রথম রিনাকে কোনও তদন্তকারী আধিকারিক তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য ডেকে পাঠালেন। ঘণ্টা দেড়েক বৈঠকের পর আনন্দময়ের অফিস থেকে বেরোন রিনা। সঙ্গে ছিলেন যুব তৃণমূলের নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু শাহ। সেখান থেকে বেরিয়ে রিনা জানান , তিনি পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে সার্কেল ইনস্পেক্টর তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে মতিরুলের স্ত্রীকে জানিয়েছেন। দমদম থেকে ধৃত দু’জনকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমার এবং পিঙ্কু মণ্ডল চরের জমি নিয়ে মতিরুলের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, রাজকুমার এ-ও জানিয়েছেন, ইটভাঁটার সমস্যার সমাধানে স্থানীয় থানার এক আধিকারিকও হস্তক্ষেপ করেছিলেন, কিন্তু তার সমাধান হয়নি। রিনা বলেন, ‘‘আমি যে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম, তাঁদের অনেকে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তদন্ত ধামাচাপা দিতে আমাকেও খুন করা হতে পারে। তাই আমি প্রকাশ্যে আর কিছু বলতে চাই না। যা বলার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়ে বলতে চাই।’’
বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। আশ্বস্ত করতে পারি এক জন অপরাধীও তদন্তের আওতার বাইরে থাকবে না।’’ গত ২৪ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের নওদা থানার শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে এবং গুলি করে খুন করে মতিরুলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy