Advertisement
E-Paper

অগ্নিদগ্ধ রোগিণীর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে, গাফিলতির অভিযোগ, অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

অন্তঃসত্ত্বার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কাজুলি হাসপাতালে দৌড়োদৌড়ি শুরু করেন। সে ভাবেই পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও অভিযোগ মানেনি কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০১
File image of murshidabad medical college and hospital

মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজ এবং হাসপাতাল। — ফাইল ছবি।

অগ্নিদগ্ধ রোগিণীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়।

রোগিণীর পরিবার সূত্রে খবর, প্রায় ৪০ শতাংশ ‘বার্ন ইনজুরি’ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরের কাজুলি বিবি। তিনি ছিলেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ২৬ বছরের কাজুলিকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে। রোগী যাতে যন্ত্রণার চোটে হাত, পা না ছোড়েন, তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা থাকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে। কিন্তু অভিযোগ, কাজুলির ক্ষেত্রে তেমন কিছুই ছিল না। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কাজুলি বিছানা ছেড়ে উঠে ছুটোছুটি করতে থাকেন। কিন্তু তাঁকে সামলাতে আসেননি কোনও আয়া, চিকিৎসক বা নার্স। সে ভাবেই ছুটোছুটি করতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় কাজুলির। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার। কাজুলি বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন বলেও মানেনি হাসপাতাল।

মৃতার দিদি বলেন, “চার দিন ধরে ওই অবস্থায় পড়ে ছিল। কেউ চিকিৎসা করেনি। শ্বাসকষ্ট ছিল। খেতেও পারছিল না। ডাক্তারবাবুকে বার বার বলেছিলাম, একটু দেখুন। কিন্তু কেউ আসেননি। অসম্ভব যন্ত্রণায় গতকাল (শনিবার) রাত্রে স্যালাইন খুলে দৌড়ে চলে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। পেটে বাচ্চা নিয়েই মরে গেল। আয়া, নার্স কোথায় ছিল?” যদিও রোগীর পরিবারের অভিযোগ মানতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা হয়েছিল। শারীরিক অবনতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর।’’

Burn Injury Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy