সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র দু’মাস। তার মধ্যে পৌনে আট লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়া যাতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে, তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে রাজ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। কিন্তু কী ভাবে ওই অসাধ্যসাধন সম্ভব হল?
জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলছেন, ‘‘স্কলারশিপের আবেদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে স্কুলগুলিতে লাগাতার প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, স্কুল শিক্ষাদফতরের পাশাপাশি ইমাম-মোয়াজ্জেমদেরও সচেতনতার কাজে লাগান হয়েছিল। স্কুলগুলিতে অনলাইনে আবেদন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনিক কর্তারাও উদ্যোগী হন। যার ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা সাফল্য পেয়েছে।’’
চলতি বছরে রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় সংখ্যালঘু স্কলারশিপের জন্য ১.৭৮ শতাংশ বেশি আবেদন করেছে। সংখ্যার হিসেবে রাজ্যের সব থেকে বেশি পড়ুয়া স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছে এই জেলা থেকে। রাজ্য তো বটেই, সংখ্যালঘু স্কলারশিপের আবেদনের দিক থেকে দেশের শীর্ষে আছে মুর্শিদাবাদ, দাবি জেলাশাসকের।