Advertisement
E-Paper

পড়ুয়ার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য

তিনি নাকি সে দিন কলেজেই যাননি! কলেজ কর্তৃপক্ষ তেমনটাই জানাচ্ছেন। অথচ সহপাঠীদের দাবি, তাঁকে সে দিন কলেজেই দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যায় কলেজের গ্যারাজেই মিলেছে তাঁর সাইকেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬

তিনি নাকি সে দিন কলেজেই যাননি! কলেজ কর্তৃপক্ষ তেমনটাই জানাচ্ছেন। অথচ সহপাঠীদের দাবি, তাঁকে সে দিন কলেজেই দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যায় কলেজের গ্যারাজেই মিলেছে তাঁর সাইকেল। কলেজ থেকে বেশ কিছুটা দূরে, কল্যাণী-মদনপুরের এলাকায় রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শৌভিক বলের (২০) দেহ।

ডিসেম্বরের ১৯ তারিখের সেই ঘটনার পরে শৌভিকের পরিবার সোমবার রানাঘাট জিআরপি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। খুনের অভিযোগ কেন? শৌভিকের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু হিসেব মিলছে না।

দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণের দিন ছিল ১৯ ডিসেম্বর। শৌভিকের বাড়ি কল্যাণীর এ ব্লকে। তাঁর মা কাকলিদেবী জানান, সকাল ১০টা নাগাদ সাইকেলে করে কলেজের জন্য বের হন শৌভিক। বিকেল পাঁচটা নাগাদ কলেজ থেকে কিংশুক মুখোপাধ্যায় নামে এক জন তাঁর মা-কে ফোন করে জানান, শৌভিক কলেজে আসেননি। ফলে তাঁর ফর্ম জমা পড়েনি।

এর পরেই কাকলিদেবী ফোনে শৌভিককে পেয়ে যান। শৌভিক তাঁকে জানান, তিনি বাড়ি ফিরছেন। কাকলিদেবী তাঁকে ফর্ম পূরণের কথা বলায়, তিনি জানান ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। কাকলিদেবী কিংশুকবাবুকে সে কথা জানান। কিছুক্ষণ পরে তিনি শৌভিকের ফোন বন্ধ পান। কলেজে ফোন করে জানতে পারেন শৌভিক সেখানে যাননি।

খবর পেয়ে এ বার কলেজে যান শৌভিকের বাবা শ্যামলবাবু। যোগাযোগ করা হয় শৌভিকের কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গেও। তাঁরাও কলেজে আসেন। কলেজের কর্মীরাও জানান, শৌভিক আসেননি। অথচ কলেজের গ্যারাজেই মেলে শৌভিকের সাইকেল।

কাকলিদেবী জানান, সাড়ে ছ’টা নাগাদ কল্যাণী জিআরপি ফাঁড়ি থেকে দু’জন পুলিশকর্মী তাঁদের বাড়ি এসে জানান, রেলের ধাক্কায় শৌভিক জখম হয়েছেন। কল্যাণী এবং মদনপুর স্টেশনের মাঝে সাহেববাগান এলাকায় পড়েছিল শৌভিকের দেহ। শ্যামলবাবু শৌভিকের দেহ শনাক্ত করেন। রানাঘাট জিআরপি থানার আইসি দেবকুমার রায় বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের পরিবার একটি খুনের মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করছি। ওই ছাত্রের ফোনের কল-লিস্ট-সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’’

বন্ধুদের দাবি, শৌভিকের সে দিন কলেজে এসেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, শৌভিক কলেজে আসেননি। তাঁর মাকে কলেজ থেকে ফোন করে জানানো হল সে কথা। কিন্তু শৌভিককে কেন ফোন করা হল না? কিংশুকবাবু জানান, শৌভিককে তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। অথচ কাকলিদেবী তাঁকে ফোনে পেলেন। এই প্রশ্নগুলোও পুলিশকে ভাবাচ্ছে।

বিশেষ শিশু অধিকার ও সুরক্ষা দিবস। ব্লক শিশু সুরক্ষা সমিতি ও সমাজ কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার হাবরায় কুমড়ো এলাকায় পালন করা হল বিশেষ শিশু অধিকার ও সুরক্ষা দিবস। মিছিল বের করা হয়। নারী ও শিশু পাচার চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলা হয় ওই মিছিলে। বহু মানুষ মিছিলে পা মেলান। প্রশাসনের কর্তারাও ছিলেন।

Student Death Mystery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy