৮ জুন, ২০২০।
আমার আঠারো বছরের সরকারি চাকরি জীবনে আর দশটা দিনের চেয়ে আলাদা হয়ে রইল। বেশ খানিকটা আলাদা। আজ সরকারি নির্দেশানুসারে অন্য সরকারি অফিসের মতো আমাদের জেলা তথ্য দফতরের অফিসও আবার খোলা হল। এক নতুন দৃষ্টিকোণ, নতুন ব্যবস্থাপনা এবং নতুন মানসিকতায়। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব যথাযথ পালন করে অফিস চালু করা এক নতুন অভিজ্ঞতা!
কাগজপত্র গ্রহণ এবং সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে পারস্পরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। এবং যত বেশি সম্ভব সফট কপিতে দূরবর্তী দফতরগুলি থেকে সরকারি কাজকর্মের আদানপ্রদান যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলতে পারে, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দূরত্ব বিধি মেনে কর্মীদের বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আমাদের দফতরের সকল কর্মীদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার প্রয়োজনে বিভিন্ন মেডিক্যাল কিটসের আবেদন করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে এই মূহূর্তে সত্তর শতাংশ কর্মচারী আসবেন সপ্তাহে তিন দিন করে। সে দিকে দৃষ্টি রেখেই তাঁদের ডিউটি রোস্টার ভাগ করা হয়েছে।
কোনও দিন কি ভেবেছিলাম অফিসে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে বসতে হবে সকলকে? সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে পরতে হবে মাস্ক, হেড গার্ড, গ্লাভসের মতো বর্ম? ঘণ্টায় ঘণ্টায় দু’হাত পরিষ্কার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারে? অফিস হাজিরায় শিথিলতা থাকবে কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন করে সুস্থ অবস্থায় অফিস পৌঁছনোর জন্য? কোভিড ১৯-এর যুদ্ধে মানুষ জয়লাভ করবেই। আমরা তার এক সামান্য সাক্ষী হয়ে থাকলাম ইতিহাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy