ছবি: শাটার স্টক।
ইদের আগে কেরল-ফেরত শ্রমিকদের কোঁজখবর রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন দুই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। কোন জেলার কোন ব্লক থেকে কত বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছেন, তার কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। অথচ এঁদের কেউ নিপা ভাইরাস শরীরে নিয়ে ফিরলে তা যত দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
কেরলের কোঝিকোড় ও মলপ্পুরম জেলায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে কেরল ফেরত শ্রমিকদের নিয়েই স্বাস্থ্য দফতরের মাথাব্যথা বেশি। তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য আশাকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। নদিয়ায় আশাকর্মীদের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি ও এএনএম কর্মীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের ডেপুটি সিএমওএইচ - ২ পার্থপ্রতিম গুপ্ত জানান, প্রতিটি বাড়িতে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে জেলার ২৬টি ব্লকের আশাকর্মীদের। কেরল থেকে কেউ জ্বর নিয়ে ফিরলে গ্রামের হাতুড়ের কাছে না গিয়ে যেন সরাসরি হাসপাতালে আসেন, সেটাই বোঝনোর চেষ্টা চলছে। নিপা ভাইরাস সম্বন্ধে সচেতন করাও হচ্ছে। হোর্ডিং-ব্যানার টাঙানো হয়েছে, লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। যে পরিবারের লোক কেরলে রয়েছেন, তাদের কাছে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসতে বলা হয়েছে আশাকর্মীদের, যাতে জ্বর নিয়ে কেউ বাড়ি ফিরলে তাঁরা দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন।
নদিয়ার ১৮টি ব্লক থেকেই হাজার হাজার যুবক কেরলে যান রাজমিস্ত্রির কাজ করতে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “আমাদের স্বাস্থকর্মীরা নিয়মিত গ্রামে ঘুরে জ্বরের সমীক্ষা করছেন। পরীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।” শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার আবার বলেন, “এক মাত্র পুণেতে এই পরীক্ষা হয়। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলেও চিকিৎসা করার পরিকাঠানো এখানে নেই।”
নিপা ভাইরাস সংক্রামক, কিন্তু রোগীদের রাখার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড নেই। শক্তিনগরে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকলেও তাতে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই। রয়েছে শুধু সিসিইউ-তে। তাপস রায় বলেন, “আমাদের তিনটে ভেন্টিলেটর আছে। নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এলে একটা আলাদা করে দেব।” এন-৯৫ মাস্ক ও বিশেষ পোশাকও কিনে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy