আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র
দমকলের ইঞ্জিন অনেক দূরের কথা, একটা রিকশা পাড়ায় ঢুকতে গেলেও পাঁচ বার ভাবতে হয় চালককে। অথচ সেই পাড়াতেই কোটি কোটি টাকার খাদি, সিল্কের কাপড় নিয়ে কারবার ব্যবসায়ীদের।
কেউ তৈরি করেন দামী সিল্ক কেউ বা খাদির কাপড়, আবার কেউ সেই কাপড় ধোলাইয়ের কাজ করেন। ফলে বাড়িতেই মজুত থাকে দামি কাপড় আর সুচতোর পাহাড়। আর নতুন কাপড় তৈরির পর ধোলাইয়ের কাজ করতে গিয়েও চলে আগুন নিয়ে খেলা। কারণ খাদির কাপড়কে তিন বার গরম জলে ধুতে গিয়ে বড় মাটির চুল্লিতে জালাতে হয় কাঠের আগুন। অন্য দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা নেভানোর জন্য বিন্দুমাত্র কোনও ব্যবস্থা নেই গোটা পাড়াতে। ফলে ইসলামপুর থানার চক গ্রামের অনেক মহল্লা এখন জতুগৃহ।
চক এলাকার দিয়াড়পাড়ার বাসিন্দা নির্মল সরকার বলছেন, ‘‘আগুন লেগে গেলে পড়ার মানুষ আর ভগবানই ভরসা আমাদের। কারণ এখানে দমকল দূরের কথা, একটা রিকশাও ঢুকতে পারে না।’’ ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না আমাদের।’’
কিন্তু তা নিয়ে কোনও সাবধানতা নেই সেখানে। রানিনগর ১ ব্লকের বিডিও মহম্মদ ইকবাল বলছেন, ‘‘ওই এলাকার রাস্তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ কী ব্যবস্থা?
ইসলামপুর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক আয়ুব আলির দাবি, ‘‘কখনও আগুন না লাগায় আমরা এ নিয়ে সচেতন ছিলাম না। তবে কলকাতায় একের পর এক ঘটনার পর মনে হচ্ছে আমাদেরও সচেতন হওয়ার সময় হয়েছে।’’
যা শুনে স্থানীয় লোকজন বলছেন, ‘‘সেই সময় কবে আসে, দেখা যাক!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy