—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মে মাস পড়তেই জাঁকিয়ে পড়ছে গরম। আর তীব্র দহনে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে রোজ ভিড় বাড়ছে। কলকাতা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণ ভারত, পশ্চিম ভারত থেকেও পর্যটকেরা পাহাড়ে আসা শুরু করে দিয়েছেন। ১ মে থেকে ভিড় আরও বেড়েছে। আপাতত আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহ অবধি হোটেল, হোম-স্টের ঘর বুকিং প্রায় শেষ। পর্যটন সংগঠনগুলি জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে পাহাড়ে ৮৫ শতাংশ রুম ‘বুক’ হয়ে গিয়েছে। মে থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ অবধি ভরা পর্যটন মরসুম জুনের শেষ অবধি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। উত্তরের মালদহ-সহ দক্ষিণের একাধিক জেলায় ৪২ ডিগ্রিও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে। শিলিগুড়ি বৃহস্পতিবার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সেখানে দার্জিলিঙের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কালিম্পং খানিকটা বেশি হলেও ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। আবার কখনও কখনও দুপুরের পরে এক পশলা বৃষ্টি বা জোর হাওয়ায় আরও মনোরম ঠান্ডা হয়ে উঠেছে পাহাড়।
তাতেই মন কাড়ছে পর্যটকদের।
রাজ্য পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘ভোটের নানা দফায় গরমের পর্যটন মরসুম কিছুটা নড়চড় হবে ভাবা হয়েছিল। সেখানে পাহাড়ে ভিড় উপচে পড়ছে। সমতলের বুকিং একেবারেই কম। সেখানে পাহাড়ে সরকারি লজ, অতিথি নিবাস তো দূরের কথা, বেসরকারি হোটেলেও ঘর মিলছে না।’’
তিনি জানান, মে মাসে বেসরকারি স্কুল-কলেজে ছুটি পড়বে। রাজ্য সরকারের স্কুল ছুটি চলছেই। গোটা জুন এমন পরিস্থিতি চলবে বোঝাই যাচ্ছে। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘গরমের স্বস্তির খোঁজে প্রচুর মানুষ পাহাড়ের নানা এলাকায় আসছেন। মে-জুন জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকছে পাহাড়ে।’’
পর্যটক মহলের অভিযোগ, প্রতি বছরের মতো গাড়ি এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠা শুরু হয়েছে। তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার ভাড়া সুযোগ বুঝে পাঁচ হাজার অবধি পৌঁছে যাচ্ছে। ভিড় বাড়তেই হোটেল ভাড়া ইচ্ছে মতো চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ নজরদারির কথা বলেছেন। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy