Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তারকারা ভোটের প্রচারে এলেন কই, হতাশ ধুলিয়ান

দেব-দর্শন তো দূরের কথা, দেখা মিলল না রিয়া-রাইমা, লকেটেরও! বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হয়েছে। বৃথা আশা মরতে মরতেও নাকি মরে না। তাই বারবেলা পর্যন্ত অনেকেই ভেবেছিলেন, কেউ না আসুক পাশের জেলা বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় নিশ্চয় একবার আসবেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল, প্রচার রইল তারকা শূন্য। কোনও তারকাই পুর-প্রচারে এলেন না। ধূলিয়ানের বছর আঠেরোর এক তরুণী তো রীতিমতো অভিমানী, ‘‘খবরের কাগজ খুললেই তো দেখতে পাচ্ছি প্রচারে বেরিয়েছেন রূপা-শতাব্দীরা। ক’দিন আগে জলঙ্গিতে এসেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অথচ এ দিকে তো কেউই এলেন না!’’

বিমান হাজরা
ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৩
Share: Save:

দেব-দর্শন তো দূরের কথা, দেখা মিলল না রিয়া-রাইমা, লকেটেরও!

বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হয়েছে। বৃথা আশা মরতে মরতেও নাকি মরে না। তাই বারবেলা পর্যন্ত অনেকেই ভেবেছিলেন, কেউ না আসুক পাশের জেলা বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় নিশ্চয় একবার আসবেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল, প্রচার রইল তারকা শূন্য। কোনও তারকাই পুর-প্রচারে এলেন না। ধূলিয়ানের বছর আঠেরোর এক তরুণী তো রীতিমতো অভিমানী, ‘‘খবরের কাগজ খুললেই তো দেখতে পাচ্ছি প্রচারে বেরিয়েছেন রূপা-শতাব্দীরা। ক’দিন আগে জলঙ্গিতে এসেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অথচ এ দিকে তো কেউই এলেন না!’’

এই তরুণ-তরুণীদের মতো অনেকেরই ভোটের কচকচানি পছন্দের নয়। এঁদের অনেকে তো বটেই, আশাবাদী ছিলেন রাজনৈতিক দলগুলির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও। জেলা নেতাদের বুঝিয়েছিলেন, ‘‘তারকাদের দিয়ে অন্তত একটা রোড শো করাতে পারলে ভোটের বাজারে সেটা কিন্তু উপরি হবে।’’ বিস্তর আবেদন-নিবেদনের পরেও ফল যে কিছুই হবে না—ভাবতে পারেননি তাঁরাও। দিনের শেষে সকলেই হতাশ।

গত বছরে ফরাক্কায় কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসার কথা ছিল ঘাটালের সাংসদ দেবের। বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় কাঞ্চনতলা স্কুলের কিছু ছাত্রও। কিন্তু, সে যাত্রায়ও দেখা মেলেনি প্রিয় নায়কের। সে কথা মনে করিয়ে তারা সম্বস্বরে বলছে, ‘‘সেবার তা-ও রিয়া-রাইমার দেখা মিলেছিল। এ বার তো কোনও দলের কোনও তারকাই প্রচারে এলেন না!’’ তাদেরই এক বন্ধুর টিপ্পনি, ‘‘রাজ্যের বেশির ভাগ তারকাই তো এখন তৃণমূলের দিকে। এই ক’দিন আগেও বীরভূমে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন শতাব্দী রায়। তা হলে ধুলিয়ান বা মুর্শিদাবাদ বাদ পড়ল কেন?’’

তৃণমূলেরই একটি অংশের মত, কংগ্রেস ও সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদে দলনেত্রীর ‘বাড়তি’ নজর রয়েছে। পুরভোট ঘিরে জেলা নেতাদের তৎপরতাও তুঙ্গে। সেখানে তারকা-প্রচার তো বাড়তি মাত্রা যোগ করত। সেই ‘বাড়তি মাত্রা’র কথা অস্বীকার করছেন না তৃণমূলের সামশেরগঞ্জ ব্লক সভাপতি কাউসার আলি। তিনি বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনকে বলেছিলাম যদি কোনও স্টার আনা যায়। দাদা আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষমেষ আর হল কই?’’ আপ্রাণ চেষ্টা যে তাঁদের তরফেও চলেছিল, তা মানছেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অনমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের চাহিদা রয়েছে। বাবুলও ব্যস্ত। তাই চেয়েছিলাম অন্তত লকেট বা জয়—কেউ আসুক। কিন্তু, কাউকেই আনা গেল না!’’

অনেকে আবার ভেবেছিলেন, কলকাতার ভোট মিটবে তারপরে তারকারা আসবেন। আশায় আশায় থেকেও সে আসা, আশাই রয়ে গেল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE