শনিবার বিকাল চারটে।
মাঠে প্রবেশের দু’টো পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাঠে তিনটি লম্বা লাইনের একেবারে শেষে পুরসভার এক জন করে কর্মী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের এক জন বলেন, “আর যাতে কেউ যাতে লাইনে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য আমরা লাইনের শেষে দাঁড়িয়েছি।
রানাঘাট শহরের চিল্ড্রেন্স পার্কে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল দশটা বাজার আগের থেকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলেও লাইনে খুব একটা ছোট হয়নি। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সকলের মুখে মাস্ক ছিল। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বজায় ছিল না। একেবারে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে তাঁরা গল্প করেছেন। কোথাও একসঙ্গে অনেকে জটলা করতে দেখা গিয়েছে। তাদের সরে দাঁড়াতে বলেও ফল হয়নি। একটু পরে আবার তাঁরা একে অপরের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের ৮ নম্বরের বাসিন্দা রাতুল দাস বলেন, “আমার পরিবারে দু’জন এবং আমার ভাইয়ের পরিবারে চার জনের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলাম। আমি আমার জায়গায় ঠিক থাকলেও সামনে এবং পিছন থেকে মানুষ কাছে এসে দাঁড়াচ্ছিলেন। কাছে এসে কথা বলছিলেন। কেউ তাঁদের বারণ করছিল না। যেটা সব সময় ভয়ের কারন।”
রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন শহরের চারটি ওয়ার্ডের মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা হয়েছিল। ওয়ার্ডগুলো বড় হওয়ায় জন্য মানুষ অনেক বেশি এসেছেন। যথা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।” রানাঘাট পুরসভার প্রশাসক-সদস্য অসিত দত্তের কথায়, “মানুষ খুব খুশি। সব ওয়ার্ড থেকে তাঁরা উৎসাহ নিয়ে হাজির হচ্ছেন। সেই কারনেই ভিড় হচ্ছে। দূরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। অনেকেই গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন।” নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy