ছট: লালবাগের ঘাটে ভিড়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
বিধি ভেঙে ভিড় জমল ছটপুজোতেও। বুধবার দুপুর থেকে ছটপুজোর জন্য বহরমপুরের গোরাবাজার থেকে শুরু করে খাগড়ায় ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এদিন দুপুর থেকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। বেলা গড়িয়ে বিকেল হতে ঘাটগুলি মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে। শারীরিক দূরত্ববিধি দূরে থাক, অনেকেই মাস্ক ছাড়াই ভিড়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছেন। মাস্ক কই প্রশ্ন করতেই কেউ আঁচলে মুখ লুকিয়েছেন, কেউবা রুমালে মুখ ঢেকেছেন। তবে ছটপুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পুজোয় করোনাবিধি যতটা মানা সম্ভব তা মানা হয়েছে। তবে এদিন বাজি পোড়ানো বন্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছে জেলা পুলিশ।
সূত্রের খবর, বিগত বছরগুলিতে যেমন পুজোর দিন বিকেলে ও পরের দিন ভোরে বাজি পোড়ানো হয়। তবে পুজোর পরের দিন ভোরে সব থেকে বেশি বাজি পোড়ে। বুধবার বিকেলে বাজি পোড়েনি। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কী হয় তা দেখার।
বিগত বছরগুলির তুলনায় এবারে ভাগীরথীর ঘাটগুলিতে ভিড় কিছুটা কম ছিল। খাগড়ার বাসিন্দা প্রদীপ ভকত বলেন, ‘‘করোনার কারণে বরাবরের তুলনায় এবারে লোকজন কম ছিল।’’ সেখানে উপস্থিত রাহুল ভকত বলেন, ‘‘ছটপুজোয় যতটা সম্ভব করোনা বিধি মানার, ততটাই মানা হয়েছে।’’
বুধবার সকালে বহরমপুর পুরসভার প্রশাসক স্বরুপ সাহা শহরের বিভিন্ন ঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি ঘুরে দেখেছেন। তিনি এদিন বিকেলেও বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেছেন।
এ দিন বিকেলে জগন্নাথঘাট বাগানপাড়া সদস্য বৃন্দের উদ্যোগে সর্বজনীন ছটপুজোয় ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পুরসভার প্রশাসকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ দিন দুপুর থেকে বহরমপুর কলেজ ঘাট, গোরাবাজারের উমাসুন্দরী পার্কের ঘাট, গোপালঘাট, জগন্নাথ ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে যেমন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তেমনই শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং ভাগীরথীতে জলপথেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy