Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন, ধৃত বৃদ্ধ

পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধানতলা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে ৭০ বছরের এক পড়শিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম লক্ষ্মণ রায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া শ্রীরামপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে এলাকা থেকেই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁর পরিবারের লোকজন এসে মেয়েটির বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। মেয়েটির বৌদি-সহ তিন জন আহত হয়েছেন। বৌদিকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানাঘাট ২ ব্লকের দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকায় বাড়ি লক্ষ্মণ রায়ের। তার নাতি-নাতনির সঙ্গে খেলা করত বছর বারোর ওই নাবালিকা। সে দত্তপুলিয়ার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। খেলার সুবাদে মাঝে-মধ্যে লক্ষ্মণের বাড়িতে যেত মেয়েটি।

নাবালিকার পরিবারের অভিয়োগ, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মণের বাড়িতে কেউ ছিল না। মেয়েটি তা জানত না। খেলা করতে গিয়েছিল। তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে লক্ষ্মণ। এলাকার এক মহিলা বিষয়টি দেখে ফেলেন। তিনিই মেয়েটির বাড়িতে খবর দেন। তাঁরা গিয়ে দেখেন, দরজা বন্ধ। দরজায় ধাক্কা দিলেও লক্ষ্মণ প্রথমে খুলতে চায়নি। পরে সে দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একটি ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে কেউ দরজা খুলে দিলে সে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মেয়েটির জেঠিমা বলেন, “আমার ভেবেছিলাম, মেয়ে খেলতে গিয়েছে। পাড়ার এক জন মহিলা এসে খবর দেন। তা না হলে জানতেই পারতাম না। তড়িঘড়ি তার বাড়িতে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। দরজা খুললে আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে
নিয়ে আসি।”

জেঠিমার অভিযোগ, “শুক্রবার সকালে লক্ষ্মণ রায়ের পরিবারের লোকেরা আমদের বাড়িতে চড়াও হয়। আমাদের তিন জনকে মারধর করে। আমার জায়ের মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। মাথা দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।” লক্ষ্মণের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE