Advertisement
E-Paper

আঁধার পথে আর কত দিন, প্রশ্ন ধর্মদার

আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হন নাকাশিপাড়ার ধর্মদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামসুন্দর দে। সঞ্চালনায় ছিলেন সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০১:৫০
বোঝা-দায়: গুড়গুড়ি খালেই চলছে চাষ। নিজস্ব চিত্র

বোঝা-দায়: গুড়গুড়ি খালেই চলছে চাষ। নিজস্ব চিত্র

জলের লাইন আমাদের এলাকার ওপর দিয়ে গেলেও সেই জল আমরা পাই না। এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয়।

প্রহ্লাদ বিশ্বাস, ধর্মদা দাসপাড়া

প্রধান: পানীয় জল প্রকল্প এত দিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর দেখভাল করত। সম্প্রতি জল সরবরাহ প্রকল্প গ্রামপঞ্চায়েতগুলির হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ এসেছে। প্রকল্পের দায়িত্ব হাতে পেলে এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করব।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে টোটো, মোটরচালিত ভ্যান। ফলে যানজট লেগেই থাকে।

অরুণ দাস, ধর্মদা

প্রধান: টোটো ও মোটরচালিত ভ্যানের জন্য স্ট্যান্ড করার সরকারি জমি নেই। চালকদের বুঝিয়ে যতটা সম্ভব যানজট এড়ানোর চেষ্টা চলছে।

নিকাশিনালার ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে যায়।

পরিতোষ সর্দার, জল ট্যাঙ্কিপাড়া

প্রধান: ধর্মদার বিভিন্ন এলাকায় পাকা নিকাশিনালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই এলাকাতেও হবে।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা। সব সময় চিকিৎসক না থাকায় সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা।

মানিকচন্দ্র দাস, বহিরগাছি

প্রধান: আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বেশ কয়েক বার বৈঠক করেছি।

ধর্মদা বাজার এলাকায় পথবাতির ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যার পর মেয়েরা একা রাস্তায় বেরোতে ভয় পান।

বাবন শেখ, ধর্মদা

প্রধান: বছর কুড়ি আগে পথবাতির ব্যবস্থা করেছিল গ্রামপঞ্চায়েত। কিন্তু সে সময় প্রায় ৬২ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় দফতর। গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল খুব কম। তাই ওই বিল মেটানোর সামর্থ পঞ্চায়েতের নেই। ফলে পথবাতি লাগানো সম্ভব হয়নি।

স্বামী বার্ধক্য ভাতা পেতেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী কোনও ভাতা পাচ্ছেন না। কেন?

নারায়ণচন্দ্র দাস, কাচকুলি

প্রধান: বার্ধক্যভাতা প্রাপক স্বামীর মৃত্যুর পরপরই তাঁর স্ত্রী সরকারি ভাতা পাবেন এমন নিয়ম নেই। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানাব।

ধর্মদা থেকে বিভিন্ন রুটে এগারোটি বাস চলাচল করে। অথচ ধর্মদায় বাসস্ট্যান্ড নেই। ফলে রাস্তার উপরে দাঁড়াচ্ছে বাস। যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা।

শ্রীবাসচন্দ্র দাস, ধর্মদা

প্রধান: বাসস্ট্যান্ড বড় প্রকল্প। এত ক্ষমতা গ্রাম পঞ্চায়েতের নেই। ব্লক এবং জেলাপ্রশাসনকে জানাবো।

আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই। ফলে খোলা জায়গায় নোংরা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

কৌশিক ঘোষ, ধর্মদা

প্রধান: আমরা এর জন্য জমি চিহ্নিত করে জেলায় প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

গুড়গুড়ি খাল সংস্কার না হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে সমস্যা হয়।

অতীন্দ্র চক্রবর্তী, ধর্মদা

প্রধান: একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই খাল সংস্কার করা হবে।

রাস্তার ওপর সব্জি বাজার বসছে।

প্রসুন নাথ, ধর্মদা

প্রধান: সব্জি ব্যবসায়ীদের জন্য অন্য কোথাও বাজার করা যায় কি না, আলোচনা করে দেখব।

Panchayat Chief Village Public
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy