Advertisement
E-Paper

পার্থের ইস্তফায় দলেই ধোঁয়াশা

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে, কয়েকজন কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পার্থ। কি এমন হল যে পদত্যাগ করছেন? পার্থ বলেন, “আমার পদত্যগের সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। একান্ত ব্যক্তিগত কারনে আমি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:০৩
ইস্তফা-পেশ: পার্থ। নিজস্ব চিত্র

ইস্তফা-পেশ: পার্থ। নিজস্ব চিত্র

কানাঘুষোটা শোনা যাচ্ছিল দিন কয়েক ধরেই। বুধবার সকালে, তা মিলে গেল। রানাঘাট মহকুমাশাসকের কাছে গিয়ে, বীরনগর পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধরিয়ে দিলেন ইস্তফাপত্র।

এ দিন মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “পুরপ্রধান বোর্ড অফ কাউন্সিলারের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সে’টি আমি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়েছি।” নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার দায়িত্ব আপাতত উপ-পুরপ্রধানের হাতে থাকছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে, কয়েকজন কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পার্থ। কি এমন হল যে পদত্যাগ করছেন? পার্থ বলেন, “আমার পদত্যগের সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। একান্ত ব্যক্তিগত কারনে আমি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছি।’’

২০১৩তে অন্য কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস থেকে শাসক দলে যোগ দিয়েছিলেন পার্থ। সেই থেকে বীরনগর শহর তৃণমুলের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। দলীয় সেই পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দলকে তা জানিয়েও দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে উঠেছে সহজ সেই প্রশ্ন, তা হলে কি পুরনো দলে ফিরে যাচ্ছেন পার্থ? হেঁয়ালি না রেখে তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, “আমি কিন্তু এখনও তৃণমূলের কাউন্সিলার।’’ ১৯৮১ সালে প্রথম কংগ্রেস কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ওই বছর থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বামফ্রন্ট পরিচালিত বীরনগর পুরসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। পরের দশ বছর চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলেন। ছিলেন বীরনগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদেও। ২০১০ সাল থেকে ওই পুরসভার তিনিই চেয়ারম্যান।

দলের অন্দরের খবর, কংগ্রেস থেকে স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর সিংহের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলেই পিছু হটলেন পার্থ। তবে, এ ব্যাপারে মুখ শঙ্কর অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। শঙ্কর বলছেন, ‘‘আমার কিছু জানা নেই। কিছু বলতে পারব না।” তিনি একা নন, তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘অপেক্ষা করুন, আরও কয়েক জন অচিরেই সরে যাবেন!’’ দলীয় সূত্রে খবর, বীরনগর পুরপ্রধানের পথেই হাঁটতে পারেন, আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যান। কারণ? দলের এক নেতা বলছেন, ‘‘কারও আসা, কারও বা ফিরে যাওয়ার কারণ হতেই পারে!’’

Resignation Letter TMC Political Party তৃণমূল কংগ্রেস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy