—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মুখে জেলায় মাদকের পাচার কি বাড়ছে? সীমান্তের গ্রামে গোপনে কি তা মজুত করা হচ্ছে?
গত সেপ্টেম্বর জুড়ে যে ভাবে গাঁজা, হেরোইন ও কাশির সিরাপের পাচার বেড়েছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পুলিশ ও বিএসএফের নজরদারিতে বহু ক্ষেত্রেই পাচারকারিরা ধরা পড়ছে, তা থেকে ইঙ্গিত মিলছে পুজোর মুখে মাদক পাচারে ফের কিছুটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারিরা।
শুক্রবার রাতে চাঁদের মোড় থেকে এক যুবকের ব্যাগ থেকে ২২ কিলোগ্রাম গাঁজা আটক হয়। ধৃত ওই গাঁজা বহরমপুরে নিয়ে যাচ্ছিল। ধৃতের নাম বিষ্ণু বর্মন, বাড়ি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থানার কৃষ্ণপানীশালা গ্রামে। আভার, লালগোলার খান্ডুয়া সীমান্ত চৌকির বিএসএফ জওয়ানরা ৭.৩ কিলোগ্রাম হেরোইন আটক করে তিন দিন আগে সোমবার গভীর রাতে। মাদকের বাজারে এই মাদকের দাম অন্তত ২০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ মাদক লালগোলা থেকে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
১৯ সেপ্টেম্বর, সীমা চৌকি দয়ারামপুরের জওয়ানরা দেখেন যে, চোরাকারবারিরা ভারী ব্যাগ নিয়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। তল্লাশি চালিয়ে, জওয়ানরা ১০১৭ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। ১১ সেপ্টেম্বর চর লবণগোলা খানকা পাড়া গ্রাম থেকে ৬০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।
দৌলতাবাদ থানার পুলিশ এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’ দৌলতাবাদের মহারাজপুর মোড়ে নাকা তল্লাশি শুরু করে। একটি পিকআপ ভ্যানে গাঁজা পাচারের নিশ্চিত খবর ছিল পুলিশের কাছে। রাত প্রায় ৮টা নাগাদ একটি পিকআপ ভ্যানের ডালা খুলে নজরে পড়ে সারি সারি সাজানো প্যাকেট। সেখান থেকে মেলে ১১২.৫ কিলোগ্রাম গাঁজা। জানা যায় ওড়িশা থেকে ডোমকলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাঁজা। পুলিশ জানায়, ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা ওড়িশা থেকে নদিয়ার কালীগঞ্জ হয়ে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
আবার, নওদা থানা গোপন সূত্রে খবর পায়, একটি পিকআপ ভ্যান নদিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা নিয়ে ডোমকলের দিকে যাচ্ছে। এরপর পুলিশ গাড়িটিকে আটকায়। উদ্ধার হয় ৫০টি ছোট প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ৮৫ কেজি গাঁজা। ওড়িশা থেকে আনা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy