ঝাড়খণ্ড সীমান্তে শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কায় চারটি জায়গায় নাকাবন্দি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দুই রাজ্যের ৬টি জেলার মনিটরিং কমিটি। শুক্রবার ফরাক্কার গঙ্গাভবনে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, সাহেবগঞ্জ ও দুমকা জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বৈঠকে আধিকারিকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে আইন-শৃঙ্খলা জনিত খবরাখবর বিনিময় করা হবে। যেহেতু এই ৬ জেলা পরস্পরের লাগোয়া তাই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা।
এটা বন্ধে যাতে থানাগুলি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। প্রতিটি জেলা থেকেই অন্য জেলার ওয়ান্টেড বা অধরা দুষ্কৃতীদের প্রাথমিক তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা কর্তাদের হাতে। মুর্শিদাবাদের বহু দুষ্কৃতী ফেরার রয়েছে যাদের বাড়ি ঝাড়খণ্ড এলাকায়। বহু চেষ্টা করেও তাদের ধরা যাচ্ছে না। মনিটরিং কমিটির পারস্পারিক সাহায্য এ ব্যাপারে কাজটা সহজ করে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিছু দিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলায় বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বিশেষ করে সুতি, শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা এলাকায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সে সব অস্ত্র এসেছে বিহারের মুঙ্গের অথবা মালদহের কালিয়াচক থেকে। এই পাচার বন্ধ করতে মালদহ ও সাহেবগঞ্জের মধ্যে নিয়মিত পুলিশি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ভোটের মুখে এই আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট ৬ জেলার মহকুমা পর্যায়ে, পরে থানা পর্যায়ে বৈঠক হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই বৈঠক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy