তাঁর হাত নাকি খুবই লম্বা। তামাম মেডিক্যাল কলেজ জানত সে কথা। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন তিনি ডিউটিতে না এলেও তাঁকে ঘাঁটাতে তাই সাহস করতেন না কেউ।এমনকী, মাস ছয়েক আগে তাঁর বিরুদ্ধে চিটফান্ড খুলে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলেও তা নিয়ে নাড়াচাড়া করার সাহস দেখাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে, তিনি যে ফেঁসে যেতে পারেন, জেএনএম-র চিকিৎসক শান্তনু তথাগত পাল তা আঁচ করেছিলেন। কারণ, যে শান্তনু দিনের পর দিন ডিউটিতে আসতেন না, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি নিয়মিত সময় দিতে শুরু করেন ওই হাসপাতালেই। হাসপাতাল সূত্রে তা জানা গিয়েছে।
‘প্রতিশ্রুতি’ নামে যে চিটফান্ডটি তিনি চালাতেন, তাতে যুক্ত ছিলেন তাঁর গোটা পরিবার। সেখানে গড়মিলের অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও ওই মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে নিয়োগপত্র দিল কী করে? কর্ণাটকের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডিগ্রিধারী শান্তনুর ব্যাপারে কোনও খোঁজই নেয়নি রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে পদ্ধতিতে অন্যদের নিয়োগ হয়েছে, ওই ডাক্তারের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে, এখন তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy