বেলডাঙা। গণতান্ত্রিক অধিকার কী সেটা বুঝে উঠতে কারও ২৫ কারও বা ৩০ এর গণ্ডি পেরিয়েছে। এখনও অনেকে বাড়ির বড়দের বা স্বামীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই ভোট দেন। কিন্তু তার মাঝে নিজেদের এলাকার ভালমন্দ নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হলেন না স্থানীয় মহিলারা।
গত পুরবোর্ডে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কতটা পূরণ হয়েছে বা হয়নি সেই নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। বেলডাঙার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পানীয় জলের অভাব। কোথাও বা নিকাশি। গত পাঁচ বছর কাউন্সিলাররা অনেক কাজ করতে পারতেন কিন্তু করেননি। সেই কথাই বারে বারে উঠে এসেছে শহরের মহিলাদের কথায়।
শহরের নানা ওয়ার্ডে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল প্রত্যেকেই কম বেশি জলকষ্টে নাকাল। ২ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধু মিতা দাস জানান, রঙ দেখে ভোট দেবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘বিগত বোর্ডে কাউন্সিলররা মানুষের কোনও কাজে আসেননি। তাই এবার আর তাঁদের ভোট নয়।’’ তাঁর অভিজ্ঞতায়, ‘‘ট্যাপের জল ঠিক মতো পাওয়া যায় না। পাইপের লাইন থাকলেও সেই কলে জল পড়ে না। গ্রীষ্মে জলকষ্টের মধ্যে অনেককেই বিকল্প জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’ ১ নম্বর ওয়ার্ডের টুসি বিবি বলেন, ‘‘গতবার ভোট দিয়েছি। এ বারও দেব। কিন্তু পরিষেবা কোথায়? ড্রেন কোথাও রাস্তার থেকে উচুঁ। কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই তা তৈরি করা হয়েছে। নিকাশি নালা পরিষ্কারের জন্য কোনও নজরদারি নেই। একটুতেই উপচে রাস্তায় চলে আসে। এর প্রতিকার প্রয়োজন।’’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধু রেহেনা পারভিন বলেন, ‘‘নতুন কয়েকটি ড্রেন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলিতে সারাক্ষণ জল জমে থাকছে। গ্রামীণ হাসপাতালের পাশ দিয়ে একটি নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেই রাস্তা কিছু দিন যেতে না যেতেই ভেঙে চৌচির।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ব্যস্ত সময়ে বেলডাঙা জনকল্যাণ মোড় থেকে হরিমতি স্কুল মোড় পর্যন্ত যানজটে প্রাণান্তকর পরিস্থিতি হয়।’’ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ববিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তা যেন দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy