প্রশ্ন-উত্তর: মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামের ভিড় ঠেলে উঠে এসেছিল ছেলেটি। মেডিক্যালের ছাত্র, হাতে মাইক্রোফোন। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার ভাবতে পারেননি এমন গুলির মতো ছিটকে আসবে প্রশ্নটা— ‘‘আর রাজনীতির দাদারা ফোনে হুমকি দিলে, তখন কী করবেন?’’
হ্যাঁ, এমন ভ্যাবাচাকা খাইয়ে দেওয়ার মতোই অবস্থা। বুধবার, সাইবার-অপরাধ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করার পুলিশি কর্মসূচি ‘আলোর পথে’র প্রথমেই যে ‘আঁধার’ হাতড়াতে হবে, ভাবতে পারেননি মুকেশ। গেছিলেন সাইবার অপরাধ নিয়ে প্রশ্ন শুনতে, তবে তাঁকে পড়তে হল অন্য সব প্রশ্নের সামনেও। ঘণ্টা খানেকের অনুষ্ঠানে বার বারই ধেয়ে এল এমন ধারাল প্রশ্ন—
সায়ন্তন দাস (মেডিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র): রাজনৈতিক দলের দাদারা অনেক সময়ে ফোন করে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে পুলিশ কি কোনও পদক্ষেপ করতে পারে?
মুকেশ: রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব থাকে সর্বত্র। বিষয়গুলি থেকে একটু এড়িয়ে চলা ভাল।
অংশুমান দাস (চিকিৎসক): পুলিশ ও সিভিক ভ্যলেন্টিয়াদের অনেক সময়ে হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক চালাতে দেখা যায়। কিছু ভেবেছেন?
মুকেশ: সাধারণ মানুষের মত ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে তাঁদেরও জরিমানা হবে। এমনকী সাজাওহতে পারে।
রাজীব সান্যাল (এসিএমওএইচ, বহরমপুর): রোগী দেখার সময়ে বা কোনও কাজ করার সময়ে সংবাদমাধ্যমের লোকজন এসে ছবি তুলে নিয়ে যান। আমরা কি তুলতে দেব?
মুকেশ: আপনারাই বুঝুন না কী করা যায় (এক চিলতে হাসি)
তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র: রাস্তায় পড়ে থাকা দুর্ঘটনায় আহত কাউকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে পুলিশ এমন প্রশ্ন করে যেন আমরা দুষ্কৃতী। এটা নিয়ে পুলিশ কী ভাবছে?
মুকেশ: এ ব্যাপারে তো সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। একেবারেই প্রশ্ন করা যাবে না। এমন হলে সরাসরি আমাকে অভিযোগ করুন তো, দেখছি আমি।
রাজীব সান্যাল (এসিএমওএইচ, বহরমপুর): অনেক সময়েই বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দেখেছি, সেখানে কন্যা সন্চতান প্রায় হচ্ছেই না। কেন? (লিঙ্গ নির্ধারনের দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি):
মুকেশ: এ সব তো আপনারাই ভাল বুঝবেন। আমাদের অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy