Advertisement
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বৃষ্টি পড়লে ডাঙা খোঁজে হাজরাপাড়া

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নওদার কেদারচাঁদপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমেন্দ্রনাথ রায়। স্থানীয়দের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।পঞ্চায়েতের কাছেই মহিষমারা ঘোড়ামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু সেখানে পরিষেবা মেলে না। চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রায়ই বন্ধ থাকে। কালেভদ্রে একজন সিস্টার আসে‌‌‌ন।

বর্ষায় চলা দায় হয় কেদারচাঁদপুর-চাঁদাবাদ রাস্তায়।

বর্ষায় চলা দায় হয় কেদারচাঁদপুর-চাঁদাবাদ রাস্তায়।

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০০
Share: Save:

কেদারচাঁদপুর গ্রামে বছর কয়েক আগে একটি জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেই জল পানের অযোগ্য। জল পরিস্রুত করার ব্যবস্থা নেই। ফিল্টার লাগানো হোক।

নিলুফা খাতুন, কেদারচাঁদপুর

ওই ব্লক আর্সেনিকপ্রবণ। বিষয়টি লিখিত ভাবে ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়ককে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

পঞ্চায়েতের কাছেই মহিষমারা ঘোড়ামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু সেখানে পরিষেবা মেলে না। চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রায়ই বন্ধ থাকে। কালেভদ্রে একজন সিস্টার আসে‌‌‌ন।

ব্রজগোপাল মণ্ডল,ঘোড়ামারা

জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ক মিটিংয়ে এ নিয়ে অনেক বার বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজ হয়নি। আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।

প্রতি বছর বর্ষায় কেদারচাঁদপুর হাজরাপাড়া ডুবে যায়। পঞ্চায়েতের থেকে মাটি ফেলে জল আটকাবার ব্যবস্থা করা হয়। যদি সেচ দফতর সুইস গেটের ব্যবস্থা করে তাতে নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করা যেতে পারে।

রবীন্দ্রনাথ হালদার,কেদারচাঁদপুর

পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে ভাণ্ডারদহ বিল। গ্রীষ্মে জল না থাকলেও বর্ষায় কোনও কোনও বার দুকূল ভাসিয়ে দেয়। চাষিরা সমস্যায় পড়েন। অস্থায়ী ভাবে সাহায্য করতে মাটির বাঁধ দিই। কিন্তু খরচ অনেক। সুইস গেট হলে স্থায়ী সমাধান হয়।

কেদারচাঁদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে যোগাযোগের নিরিখে পিছিয়ে চাঁদাবাদ। হরিহরপাড়া ও নওদার সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামের রাস্তা বৃষ্টি পড়লে চলা দায়। দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রশাসন যদি রাস্তা তৈরি করে তবে গ্রামবাসীরা লাভবান হতেন।

শঙ্করপ্রসাদ মণ্ডল, চাঁদাবাদ

সামর্থ্য মতো মাঝে মাঝেই রাস্তা মেরামত করি। কিন্তু ফান্ড না থাকায় বেশি কাজ করতে পারি না। প্রশাসনকে জানালে সাধ্য মতো চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তা আর হয় কই।

প্রায়ই সময় তালাবন্ধ থাকে মহিষমারা ঘোড়ামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

এলাকায় কোনও ব্যাঙ্ক নেই। মিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কাজ চালাতে হয়। ফলে কোনও দিন ২০০ বা ৩০০ টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। শাখা খুললে এলাকাবাসীরা উপকৃত হতেন।

বাদল মণ্ডল,কেদারচাঁদপুর

নোট বাতিলের জেরে গ্রামের মানুষের নাকালের শেষ নেই। যারা শুধু মিনি ব্যাঙ্কে পেমেন্ট নেয় তাদের তিন হাজার টাকা তুলতে সপ্তাহের প্রতিদিন লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তাতেও প্রতিদিন ব্যাঙ্কে টাকা থাকছে না। আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা করার অনুরোধ জানিয়েছি।

অনেকেই বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু সরকার নতুন কোনও নাম তালিকায় আনছে না। যদি পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয় তবে উপকার হয়।

মহম্মদ বাসার আলি,কেদারচাঁদপুর

পুরনো তালিকা থেকে ৬০ জনের নাম বাদ পড়েছে। কিন্তু গত তিন বছর নতুন করে কোনও কাজ হচ্ছে না ফলে চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছি না।

নওদায় পেঁয়াজ চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফলে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে হয়। চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বৈদ্যনাথ রায়, কেদারচাঁদপুর

এ নিয়ে লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিষয়টি নওদার বিধায়ক বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে মাটি কাটার কাজ করেও অনেকে পারিশ্রমিক পাননি। বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। কিন্তু কেন টাকা মিলছে না, কেউ স্পষ্ট করছেন না।

সুভাষ হালদার,ঘোড়ামারা

১৮ লক্ষ টাকা ডাকঘর থেকে শ্রমিকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু তা মিলছে না। প্রশাসনকে সে কথা জানানো হয়েছে। তবু টাকা আসেনি।

এলিয়েট নগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল। ফলে প্রসূতি, সিস্টারেরা খুব সমস্যায় পড়েন। যদি রাস্তাটা ঠিক করা যায় তবে উপকার হয়।

চিন্তামণি বিশ্বাস,কেদারচাঁদপুর

গ্রামের ছোট বড় অনেক রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। কোথায় ঢালাই কোথাও মাটি দিয়ে। ওই রাস্তা তৈরির চেষ্টাও চলছে। তবে আর্থিক সহযোগিতা না মেলায় সমস্যা হচ্ছে।

গ্রামে অনেক মানুষ খাদ্য সুরক্ষায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু যাঁদের নাম তালিকায় রয়েছেন তাঁরা বিত্তবান। এর প্রতিকার কী?

সাহাবুদ্দিন শেখ, এলিয়েট নগর

এ বিষয়ে ব্লক খাদ্য পরিদশর্কের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই ভুল রয়েই গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Panchayat Questions Problem
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy