চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ।
মোহনের মোড়ে সভা আর কলেজ ঘাটের সাঁতার— দুয়ে মিলে আজ রবিবার, বহরমপুর কার্যত স্তব্ধ হতে বসেছে।
যা নিয়ে পুলিশের মাথা ব্যাথা থাকলেও তাদের যে করার বিশেষ কিছু নেই তা স্পষ্ট। সদা দায় এড়ানো জেলা প্রশাসন এ নিয়ে রা কাড়তে অপারগ। পড়ে তাকল আম জনতা— পুজোর বাজার করতে রবিবারের দুপুরে বেরিয়ে পড়া সেই সাধারনের যে শিরে সংক্রান্তি, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় নেই।
মোহনের মোড়ে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী যে সভা করবেন, কিছু দিন আগেই শাসক দলের পক্ষ থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর পুরসভার ডিগবাজিটা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর ওই সভায়। কিন্তু পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য তাঁর অনুগামী ১৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে সটান কলকাতায় চলে যাওয়ায় তা আর হচ্ছে না। দলবদলের সিংহভাগটাই ঘটবে কলকাতায়। আর, বহরমপুর দেখবে তার চেনা কংগ্রেস কাউন্সিলরদের জনা কয়েক শুভেন্দুর হাত থেকে পতাকা নিচ্ছেন।
সে সভায় উৎসাহী মানুষের ভিড় যে থাকবে বলাই বাহুল্য। তা বলে মানুষের সাঁতার নিয়ে কোনও উৎসাহ নেই? কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটে প্রায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা। তা দেখতে কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটে প্ও যে ভিড় ভেঙে পড়বে, পুলিশ অন্তত তা নিয়ে নিশ্চিত। গত বারও ভিড় হয়েছিল প্রায় লক্ষ লোকের। এ বার হবে না কেন?
বহরমপুর থানার আইসি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলছেন, ‘‘সাঁতার ও সভা মিলিয়ে ভিড় তো হবেই। তা সামাল দেওযার জন্য অতিরিক্ত পুলিশি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’ পুলিশ জানায়, ফলে শক্তি মন্দিরের কাছে ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়া হবে। সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখতে যাওয়া চুঁয়াপুর ও স্বর্ণময়ী এলাকার মানুষের ঢলকে বিদ্যাসাগরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জজকোর্টর মোড় দিয়ে নিমতলা মোড়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
সে ভরসায় কি মন ভিজছে মানুষের? গোরাবাজারের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘হুজুগেই তো মেতে রয়েছি আমরা। ভিড় তো হবেই আর ভুগবে যে মানুষ, তাও বলাই বাহুল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy