প্রায় একশো বাহকের সাঙে চেপে পথে নামতেন যোগনাথ তলার জোড়াবাঘ গৌরাঙ্গিনী মাতা। নবদ্বীপে রাসের একমাত্র সাঙের ঠাকুর। কিন্তু অতিমারি কালে এ বার স্থগিত থাকল সাঙের যাত্রা। তার বদলে একটি ছোট প্রতিমা গড়ে নিয়মরক্ষা করছেন পুজোর আয়োজকেরা।
গৌরাঙ্গিনী মাতার পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। কোভিডের কারণে এই প্রথম প্রচলিত ধারার বাইরে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে দুর্গা, কালী বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে ব্যতিক্রমী আঙ্গিকে এ বছর রাস পালিত হচ্ছে নবদ্বীপে।
কেউ মূর্তির বদলে ঘটে-পটে পুজো করছেন। কেউ আবার মানসিকের পুজো, বলিদান, দণ্ডী কাটা এ বছর নিষিদ্ধ করেছেন। ব্যাঞ্জো, ক্যাসিও, তাসা বাজানো হচ্ছে না কোথাও। আগের মতো ঢোল-সানাই কিংবা ডগরের আবহে এ যেন সম্পূর্ণ অচেনা রাস।