Advertisement
E-Paper

গুজবে ভর করে ক্রমেই বেড়ে চলেছে গণপিটুনি

‘গুজব ছড়ালেই গ্রেফতার করা হবে।’—কড়া বার্তা পুলিশের। ‘দয়া করে গুজবে কান দেবেন না।’— পাড়ায় পাড়ায় মাইক ফুঁকছে প্রশাসন। ‘সত্যি আর গুজব দু’টো কিন্তু এক নয়।’— সচেতন ‘কমেন্ট’ সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৫

‘গুজব ছড়ালেই গ্রেফতার করা হবে।’—কড়া বার্তা পুলিশের।

‘দয়া করে গুজবে কান দেবেন না।’— পাড়ায় পাড়ায় মাইক ফুঁকছে প্রশাসন।

‘সত্যি আর গুজব দু’টো কিন্তু এক নয়।’— সচেতন ‘কমেন্ট’ সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কিন্তু তারপরেও গুজবে দাঁড়ি টানা যাচ্ছে না। নিট ফল, জেলা জুড়ে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরে ও বুধবার বিকেলে কল্যাণীতে ফের গণপ্রহারের শিকার হয়েছেন সাত যুবক। কল্যাণীর গয়েশপুর গোকুলপুরের গণপিটুনির ঘটনায় জখম দুই যুবকের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব রটানোর অভিযোগে মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ দিন আরও দু’জনকে ধরেছে। পুলিশ নজর রাখছে আরও বেশ কয়েক জনের উপরে। গণপিটুনির ঘটনাতেও মহিলা-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।

মঙ্গলবার রাতে হাঁসখালির বগুলা বহির্দিগা গ্রামের এক যুবক চার বন্ধুকে নিয়ে কৃষ্ণনগর লাগোয়া নতুনগ্রামে দিদির বাড়িতে এসেছিলেন। রাতে গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের আটকান গ্রামের কিছু লোকজন। লাঠি-শাবল নিয়ে রাত পাহাড়া দিচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের জেরায় ওই যুবকরা নিজেদের পরিচয় জানান। জানান, কাদের বাড়ি এসেছিলেন তা-ও। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁদের কাছে ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখতে চান তাঁরা।

ওই যুবকদের সঙ্গে পরিচয়পত্র ছিল না। সে কথা শোনা মাত্রই ‘ডাকাত-ডাকাত’ বলে চিৎকার করে গাড়ি থেকে তাঁদের নামিয়ে শুরু হয় গণপ্রহার। গাড়িটি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এক জন কোনও রকমে পালিয়ে যান। পুলিশ এসে বাকি চার জনকে উদ্ধার করে। তার মধ্যে তিন জন গুরুতর জখম অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ দিন রাতেই ফুলিয়ার শিয়ালদা বাজারে ডাকাতির গুজব ছড়ায়। মুখে মুখে রটে যায় একটি বাড়িতে পুরুষ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে লুঠপাট চালিয়েছে এক দল দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে পুরোটাই গুজব। বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ কল্যাণীর গয়েশপুরের গোকুলপুর পঞ্চপ্রদীপ মোড়ের পাশে একটি মাঠে বসেছিলেন দুই যুবক। এলাকার বাসিন্দারা চোর সন্দেহে তাদেরকে বেধড়ক পেটায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’জনেই ভবঘুরে। ওই দু’জনকে মারধরের দলে বেশ কয়েক জন মহিলাও ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাল্টা তাড়া করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে তারা। পরে জখম যুবকদের উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে পুলিশ। ওই ঘটনায় এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতেই এই ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কী ভাবে, কারা তা করছে, তা আমরা জানতে পেরেছি। আরও কয়েক জনকে যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হবে।’’

public lynching
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy