Advertisement
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বেলা বাড়তে হাসপাতালে উপচে পড়ল ভিড়

দলের বিধায়ক গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে বার করা হচ্ছে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের দেহ।

শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে বার করা হচ্ছে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের দেহ।

সন্দীপ পাল 
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০১
Share: Save:

দলের বিধায়ক গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন বেঁচে নেই কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় অনেককে। তার পর রাত বাড়লেও হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে যাননি কর্মী-সমর্থকেরা। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মর্গের সামনে সারা রাত জেগে তাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

রবিবারের ভোর থেকেই লোকজন আসছিলেন। তার পর বেলা যত গড়িয়েছে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে হাসপাতাল চত্বর। বেলা ৮টার সময় গিয়ে দেখা যায়, হাসাপাতালে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। সকাল ৯টার কিছু পরে হাসপাতালে আসেন শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে। খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশে দিদির প্রভাব বিস্তার হচ্ছে দিন দিন। সেটা বিরোধী দলের সহ্য হচ্ছে না। তাই চক্রান্ত করে তাঁর অনুগামীদের খুন করা হচ্ছে।’’

বেলা ১০টা নাগাদ সময় মর্গ থেকে বিধায়কের দেহ বার করে এনে মর্গ চত্বরে রাখা হয়। সে সময় হাসাপাতালে পৌঁছন রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। তার খানিক পরে আসেন রানাঘাটের সাংসদ তাপস মণ্ডল। তার কিছু ক্ষণ পরে মন্ত্রী রত্না ঘোষ।

এ দিন সকালেও মন্ত্রী দলের বিধায়ক খুনে সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেন। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে তৃণমূলের জন্য দৌড়ত সত্যজিৎ। বিজেপির সংগঠন নেই। টাকা দিয়ে ক্রিমিনাল পুষে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের যাঁরা ভাল সংগঠক তাঁদের উপর আঘাত আনার চেষ্টা করছে। মুকুল রায় নদিয়া জেলায় সন্ত্রাসের জন্য মদত দিচ্ছে।’’

বেলা ১১টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আসেন করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। এই ঘটনায় যত বড় নেতা জড়িত থাক না কেন শাস্তি পাবে।’’ তিনি সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে হবে।’’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ওদের এখানে কোনও নেতা নেই। বাইরে থেকে যা বলছে, এই করো, ওই করো—তাই করে চলাচ্ছে। সত্য বেঁচে থাকবে যুবনেতা হিসাবে মানুষের কাছে।’’

তার পরেই তিনি সত্যজিতের দেহতে মাল্যদান করেন। খানিক পরে বিধায়কের দেহ শববাহী গাড়িতে তোলা হয়। গাড়ি রওনা দেয় কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের পার্টি অফিসের দিকে। তার পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধায়ক যে মাঠে খুন হয়েছিলেন সেই মাঠে। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর দেহে মাল্যদান করেন। সেই মাঠে হাজির হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলকে মেরে শেষ করা যাবে না। দোষীদের চরম শাস্তি চাইছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC MLA Murder Krishnaganj Satyajit Biswas Shaktinagar Hospital Krishnagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy