Advertisement
E-Paper

‘ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখতেন’ দুই স্কুলশিক্ষিকা! পকসোয় মামলা দায়ের মুর্শিদাবাদে, পাল্টা অভিযোগ ষড়যন্ত্রের

তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করছেন দুই শিক্ষিকা। সহকর্মীরাও সেই কথা বলছেন। একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘কোনও অভিভাবক তো আমার কাছে এমন অভিযোগ জানাননি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৬
School Boy

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

খুদে ছাত্রদের পরনের পোশাক খুলতে বাধ্য করতেন এবং তাদের যৌনাঙ্গ দেখতেন শিক্ষিকারা! মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। তাঁদের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পকসো মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, দুই অভিযুক্তের দাবি, তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার।

বহরমপুর পুরসভার পরিচালনায় দু’টি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ একই। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন ধরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করত শিশুরা। কয়েক জন অভিভাবক সন্তানের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে ছেলেদের কথায় উঠে এসেছে দুই শিক্ষিকার ‘বিকৃত অভ্যাসের’ কথা। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘ছেলে স্কুল থেকে একদিন বাড়ি ফিরে বলে, দিদিমণি ওর প্যান্ট খুলে দিতেন। পরে আরও কয়েক জন শিশুর কাছে একই কথা জানতে পারি। বাচ্চাদের মুখে এই সব কথা শুনে আমরা হতভম্ব।’’ জানা যাচ্ছে, দু’টি স্কুলের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।’’

অন্য দিকে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করছেন দুই শিক্ষিকা। সহকর্মীরাও সেই কথা বলছেন। একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘কোনও অভিভাবক তো আমার কাছে এমন অভিযোগ জানাননি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে মামলা রুজু হয়ে থাকলে কোনও মন্তব্য করব না।’’ আর একটি স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষিকার এক সহকর্মীর কথায়, ‘‘এমন কিছু হয়েছে বলে বিশ্বাস করতে পারছি না। কোথাও একটা গোলমাল হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রের খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কয়েক মাস ধরে ওই দুই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল বহরমপুর পুরসভা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। তার পরেও বেতন না মেলায় ওই দুই শিক্ষিকা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত নির্দেশ দেয় দুই শিক্ষিার বেতন মিটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তার পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেখানেও দুই শিক্ষিকার পক্ষেই রায় হয়েছে। তখন পুরসভা তাঁদের বেতন মিটিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়েরের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন দুই শিক্ষিকা। দু’জনে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনি লড়াই করবেন। আর এ নিয়ে বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকা শুধু গুরু নন, তাঁরা বাবা-মায়ের সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় সকলের। পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’

POCSO Case Teachers Murshidabad baharampur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy