চাকদহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল। ছবি সৌমিত্র সিকদার।
স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এমন অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে চাকদহ শহরে যুব তৃণমূল এক ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলে ভিড় হলেও দলের বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে মিছিলে দেখতে পাওয়া যায়নি।
যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকাল ৪টে নাগাদ শহরের পূর্ব পাড়ে ভারতী সিনেমা হলের সামনে থেকে ওই ধিক্কার মিছিল শুরু হয়। মিছিল বাসস্ট্যান্ড, রেলগেট পেরিয়ে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে শেষ হয়। সেখানে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। তবে মিছিলে চাকদহ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দিলীপকুমার সরকার, চাকদহের পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস, উপ-পুরপ্রধান দেবব্রত নাগ-সহ স্থানীয় অনেক নেতাকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এক যুব কর্মীর কথায়, ‘‘এ দিনের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে নেতাদের অনেকে না যোগ দেওয়ায় মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে বলে মনে করি। লোকসভা নির্বাচনে আগে সকলকে এক সঙ্গে চললে কর্মীদেরও মনোবল বৃদ্ধি হত। মানুষের কাছে আমাদের ঐক্যের চেহারা প্রকাশ পেত। সেটা হল না।’’
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ডাকা এ দিনের মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের জানানো হয়েছিল। কোনও কারণে হয়তো তাঁরা আসতে পারেননি।’’
চাকদহের পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস বলেন, ‘‘এ দিনের মিছিলের ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এ ছাড়া এ দিন পুরসভায় অনেক কাজ ছিল।’’ একই কথা শুনিয়েছেন পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দেবব্রত নাগ।
চাকদহ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপকুমার সরকার বলেন, ‘‘আমাকে জানানো হয়েছিল। আগের থেকে এলাকায় আমাদের দলের মহিলা সংগঠনের একটা সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় থাকায় মিছিলে যেতে পারিনি।’’
নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুকান্ত মজুমদার খুব ভদ্র এবং শিক্ষিত মানুষ। তিনি না বুঝে কোনও মন্তব্য করেন না। তৃণমূলের হাতে এখন কিছু নেই। রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল এ সব করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy