কাট টু—দিঘা: ফেসবুক থেকে পাওয়া।
কেউ বারমুডা, কারও লুঙ্গি হাঁটু ছুঁয়েছে। আধভেজা স্যান্ডো গেঞ্জিতে জ্বলজ্বল করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছনে মেঘে ঢাকা দিঘার জলোচ্ছ্বাস।
ফেসবুকে ছবিগুলো পরপর ছড়িয়ে গিয়েছে রবিবার বিকেল থেকে। তার তলায় মানানসই ইমোজি-সহ মন্তব্য—‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। ‘শহিদ দিবস জিন্দাবাদ।’ ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’ এমনকী, তালিকায় রয়েছেন সৌমিক হোসেনও। তবে মারকাটারি পরেরটা— ‘দিঘা জিন্দাবাদ!’ সন্ধ্যার পর থেকে সেই জিন্দাবাদের ভিড়ে মিশে গিয়েছে ‘লাইক’, ‘ওয়াও’ এবং অজস্র ‘কমেন্ট’। কেউ বলেছেন, ‘‘ভাই আগে বললে তো আমিও যেতাম!’’ কারও আক্ষেপ, ‘‘এক বার বলতে পারতিস।’’ কারও উচ্ছ্বাস, ‘‘জিও কাকা, এনজয়।’’
শনিবার ছিল একুশের সভা। শহিদ দিবস। গাঁ-গঞ্জ থেকে দলে দলে লোকজন গিয়েছিলেন ধর্মতলায়। সেখানে সভা শেষ করে দলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী-সমর্থক সটান চলে গিয়েছেন দিঘায়। একেই রবিবার। তার উপরে উল্টোরথ। কমেন্টের লিস্টিতে সে উল্লেখও রয়েছে, ‘একেই বলে রথ দেখা কলা বেচা।’ দিঘা থেকে কয়েক জন ফোনে বলছেন, ‘‘আর বলবেন না দাদা, সভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি সেই কবে থেকে। ধকলও গিয়েছে খুব। তাই চলে এলাম।’’ শনিবার রাতেই সটান দিঘার হোটেলে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। সকাল সকাল উঠে সকলে মিলে হই-হুল্লোড় করে সমুদ্রে স্নান সেরে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। তার পরে একটু ঘুমিয়ে বিকেলে ফের সমুদ্রের ধারে।
ডোমকলের টনি হক সভা সেরে কলকাতা থেকে রাত ৯টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছেন দিঘায়। তিনি বলছেন, ‘‘ভাবলাম, অর্ধেক পথ যখন চলেই এসেছি, তখন দিঘাটা আর মিস করি কেন। ও বাবাঃ, এখানে এসে দেখি গোটা ডোমকলটাই যেন উঠে এসেছে দিঘায়। যে দিকে যাচ্ছি, সবাই আমাদের পরিচিত মুখ।’’
ডোমকল পুরসভার দলনেতা তৃণমূলের আলম খানের কথায়, ‘‘এই সফরের গোটা পরিকল্পনা আমাদের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের। বলতে পারেন, তাঁর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি।’’ আর তৃণমূলকর্মী প্রশান্ত চৌধুরী বলছেন, ‘‘বছরে দু’একটা এমন সফর হলে মনটা চাঙ্গা থাকে। একসঙ্গে দিঘার সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার মজাই আলাদা।’’
অতএব, দিঘা জিন্দাবাদ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy