তার কদর এবং মহিমা দেখেছিল পঞ্চায়েত ভোট। পাড়ার মোড়ে কিংবা বিডিও অফিস যাওয়ার পথে সে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিল উইকেটকেও। পঞ্চায়েত ভোটে সেই যৌথ-চেষ্টা বিফলে যায়নি। লোকসভার আগে থেকে বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল— এ বারেও কি পথ শাসন করবে কোদালের হাতল আর উইকেট? আশঙ্কা মিথ্যে করে লোকসভায় সে দু’টির অবশ্য দেখা মেলেনি।
কিন্তু সোমবার কান্দি বিধানসভার উপনির্বাচনে আবার সে এসেছে ফিরিয়া! তবে একাই। উইকেটের অবশ্য দেখা মেলেনি। এ দিন ভোট চলাকালীন কান্দির যশোহরি-আনুখা ২ নম্বর অঞ্চলের মাধুনিয়া গ্রামের শিবমন্দিরের পাশে ১২৫, ১২৬ ও ১২৭ নম্বর বুথগুলো থেকে মাত্র একশো মিটার দূরে একদল বহিরাগত যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সেই খবর পৌঁছয় কংগ্রেস নেতাদের কাছেও। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে ওই বহিরাগতদের ঘিরে ধরে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই বহিরাগতরা প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করে তারা মুড়ি ও ঘুগনি খাচ্ছে। কিন্তু এলাকায় কংগ্রেস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখতে পেয়ে পুলিশ মাঠের মধ্যে ওই যুবকদের কাছে এগিয়ে যেতেই ওই যুবকেরা একটি বস্তা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ বস্তা খুলতেই বেরিয়ে পড়ে কোদালের হাতল।