ভিড় ফুলের বাজারে। নিজস্ব চিত্র।
শীত ফুরিয়ে আসছে। তাপমাত্রা কি আরও বাড়বে? সরস্বতী পুজোর আগে এ প্রশ্ন চিরন্তন। সঙ্গে আরও একটা প্রশ্ন অবধারিতবাবেই এসে যায়। বাজারদর কেমন? কারণ পুজোর সঙ্গে সঙ্গেই তাপমাত্রার মতো বাজার দর চড়ার বোধহয় একটা সম্পর্ক রয়েছে।
এ বারের ছবিটা বোধহয় অনেকটাই আলাদা। অন্তত পুজোর আগের সন্ধ্যার বাজারদরের সাত-সতেরো তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাজারে গিয়ে গেরস্তকে তেমন ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে না। কারণ, কুল থেকে শুরু কের বেগুন, ফল থেকে শুরু করে চাল-ডাল— সব কিছুর দামই রয়েছে নাগালের মধ্যে। তবে প্রতিমা বা ফুলের দাম বেশ খানিকটা চড়েছে। তবে, সবজি-ফলের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে সেটা আর তেমন গায়ে লাগছে না।
দেড় কেজি আলু দিব্যি মিলছে দশ টাকায়। বেগুন, সিম, কড়াইশুঁটি, ফুল কপি, বাঁধা কপি সবই ১০ থেকে ২০ কুড়ি টাকার মধ্যেই রয়েছে। ফলের বাজারও ঊর্দ্ধমুখী নয়। আপেল ক’দিন আগেও যেমন ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে মিলছিল মঙ্গলবারও তেমনই ছিল। নদিয়ার নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর-ডোনকল সর্বত্রই এমন ছবি। তবে দুই জেলার গ্রামঞ্চলে এ দিন সব্জি এবং ফলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
যেমন কান্দি, সালার, ভরতপুরে সোমবারও ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার তার দাম ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেগুনের কেজি প্রতি দাম ছিল ১০ টাকা। এ দিন তা ১৭-১৮ টাকায় পৌঁছয়। দিন কয়েক আগে আপেল বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকা কেজি দরে। এ দিন তা বিক্রি হয় দেড়শো টাকায় পৌঁছয়।
এ দিন বাজারে গিয়ে অনেককেই বলতে শোনা গেল, বহুদিন সরস্বতীপুজোর আগে বাজারদর এমন সস্তা ছিল না। তাই এ বার গেরস্তরা হাত খুলেই বাজার করলেন। তবে কুয়াশার জন্য ফুল চাষে প্রভাব পড়েছে বলে ফুলের দাম এ বারপ কিছুটা চড়েছে। কুড়িটা গাঁদা ফুলের মালা পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকায় ঠেকেছে। সরস্বতীর প্রিয় পলাশ ফুল একটা পাঁচ টাকা। আবার বহরমপুর বাজারে দশটা পলাশ বিকিয়েছে ২৫ টাকায়। তবে বাজারে অমিল আখ। ২৫-৩০ টাকা কবুল করেও মিলছে না পছন্দসই আখ।
কিছুটা চড়া দাম প্রতিমারও। এক হাত উচ্চতার প্রতিমা শুরু ২০০ টাকা থেকে। উচ্চতা অনুযায়ী বাড়ছে দামও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy