Advertisement
E-Paper

জ্বলে না বাতি, ক্ষোভ তেহট্টে

চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নিভে গিয়েছে উচ্চ বাতিস্তম্ভের আলো। বছর আড়াই আগে তেহট্টের জিৎপুর মোড়, হাউলিয়া পার্ক মোড় ও মালিয়াপোতায় বিধায়ক তহবিলের টাকায় তিনটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেই আলো না জ্বলায় ক্ষুব্ধ তেহট্টের বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৫

চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নিভে গিয়েছে উচ্চ বাতিস্তম্ভের আলো। বছর আড়াই আগে তেহট্টের জিৎপুর মোড়, হাউলিয়া পার্ক মোড় ও মালিয়াপোতায় বিধায়ক তহবিলের টাকায় তিনটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেই আলো না জ্বলায় ক্ষুব্ধ তেহট্টের বাসিন্দারা।

তাঁদের অভিযোগ, তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের রণজিৎ মণ্ডল বিধায়ক তহবিলের টাকায় ওই তিনটি বাতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন। তাতে উপকৃতও হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। দীর্ঘ দিন পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় দু’টি বাতিস্তম্ভ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু ফের সেগুলো আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘ঝুঁকি নিয়ে আঁধার পথে আর কত দিন যাতায়াত করতে হবে কে জানে!’’ প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎবাবু জানান, ঠিক হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ওই বাতিস্তম্ভের দেখভাল করবে। হাউলিয়া পার্ক মোড়ের বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ বিল মেটানোর দায়িত্ব ছিল নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েতের। তেমনি জিৎপুর মোড়ের দায়িত্ব তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের। কিন্তু অজানা কারণে এখন সবগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। বিষয়টি বহু বার বিডিওকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আলো জ্বলেনি।

তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না মণ্ডল খান জানান, পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ছিল শুধুমাত্র বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা। বাতি দেখভালের দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির। গত কয়েক মাসে প্রায় পঁচাশি হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এত টাকা বিল পরিশোধ করা পঞ্চায়েতের পক্ষে কষ্টকর।

নাটনা পঞ্চায়েতের প্রধান শঙ্কর তেওয়ারি জানাচ্ছেন, ওই বাতি তৈরির সময় থেকেই সমস্যা রয়েছে। চালু হওয়ার কিছু দিন পরেই ওই বাতি নিভে যায়। দীর্ঘ দিন পর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় কলকাতা থেকে মিস্ত্রি এনে বাতি সারানো হয়েছিল। তারপর ফের বিগড়েছে। স্থানীয় মিস্ত্রিদের দিয়ে ওই বাতি সারানো সম্ভব হয়নি।

তেহট্ট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আশিস মণ্ডলের অভিযোগ, “গোড়াতেই গলদ। বাতিগুলি তৈরির সময় থেকেই সমস্যা রয়েছে। সে কথা তখন ঠিকাদার ও তৎকালীন বিধায়ককে বলা হয়েছিল। ঠিকাদার সংস্থাকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। আলো জ্বললে হাউলিয়া মোড় বা জিৎপুর বাজারে ব্যবসায়ী ও প্রচুর মানুষের যাতায়াতে খুব সুবিধা হয়।”

একই অবস্থা মালিয়াপোতা বাতিস্তম্ভের। স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগ, বাতি থেকেও যদি না জ্বলে সার থেকে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে!

তেহট্ট ১ বিডিও জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, ‘‘বাতিস্তম্ভ নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যুতের কম ভোল্টেজকে দায়ী করেছে। বিদ্যুতের বিল মেটাতে পঞ্চায়েতেরও সমস্যা হচ্ছে। তবুও এলাকার অসুবিধার কথা মাথায় রেখে দ্রুত আলো জ্বালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

Street lights Tehatta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy