Advertisement
E-Paper

ছাত্রদের সঙ্গী শিক্ষকেরাও

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দাবির সঙ্গে গলা মেলাল পাঁচ শিক্ষক সংগঠনও। কেন দুই ডিনকে সরানো হল না সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘মিথ্যাচারণ’ করার অভিযোগ তুলে তারা লিফলেট বিলি করেছে। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়েছে।

মনিরুল শেখ

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দাবির সঙ্গে গলা মেলাল পাঁচ শিক্ষক সংগঠনও। কেন দুই ডিনকে সরানো হল না সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘মিথ্যাচারণ’ করার অভিযোগ তুলে তারা লিফলেট বিলি করেছে। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়েছে।

মোহমপুর ক্যাম্পাসে বহিরাগত হামলার পরে ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। রাতারাতি হস্টেল খালি করার নির্দেশ দিয়ে অসুস্থ উপাচার্য কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত শনিবারই বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। বেশির ভাগই এখনও ফেরেননি। হস্টেলগুলি এখনও কার্যত খালি। যে সব ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ ক্লাসমুখো হচ্ছেন না। যদিও এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি-র ডিন জে পি গুপ্তের দাবি করছেন, তাঁদের সব বিভাগেই ক্লাস চালু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও ছন্দে ফিরতে পারেনি বিসিকেভি।

এরই মধ্যে বুধবার ওয়েবকুটা, ওয়েবকুপা, টিচার্স কাউন্সিল, টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অধ্যাপক সমিতির তরফে একটি লিফলেট বিলি করা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্য দুই ডিনকে সরানোর লিখিত আশ্বাস দিলেও তা রাখেননি। কেন এই ‘মিথ্যাচারণ’ সেই প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ সংগঠনের তরফেই। তাঁরা যে ছাত্রছাত্রীদের দাবি পুরোপুরি সমর্থন করছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষকেরা। ওয়েবকুপা-র বিসিকেভি ইউনিটের সম্পাদক শুভেন্দু গোস্বামী বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা এখনও ন্যায়বিচার পাননি। দ্রুত কর্মসমিতির সভা ডেকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।’’

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের ধর্না আন্দোলন ভাঙতে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হরিণঘাটা শহর টিএমসিপির সভাপতি রাকেশ পাড়ুইয়ের নেতৃত্বে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দল মোহনপুর ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়েছিল। ছাত্রী আবাসনে ঢুকে মারধর করে তারা। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় ধর্নায় শামিল হওয়া ছাত্রদের। গেটে সামনে বোমা মারা হয়, শূন্যে ছোড়া হয় গুলি। সেই সময়ে বারবার উপাচার্য, ডিন অব স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বা নিরাপত্তা আধিকারিককে ফোন করা হলেও তাঁরা তা ধরেননি, ঘটনাস্থলেও আসেননি বলে আক্ষেপ পাঁচ সংগঠনের ৈশিক্ষকদের।

বিসিকেভি-তে বিলি করা হচ্ছে এমন লিফলেট। নিজস্ব চিত্র

ডিন অব স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার গৌতম চক্রবর্তী এবং কৃষি অনুষদের ডিন শ্রীকান্ত দাসকে সরানোই প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের মু্খ্য দাবি ছিল। পরে বহিরাগত হামলায় রাকেশ পাড়ুইয়ের নামে কেন পুলিশে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হল না, সেই প্রশ্নও বড় হয়ে দাঁড়ায়। মাতঙ্গিনী আবাসের ছাত্রী জুলেখা পারভিন বলেন, ‘‘আমরা এখনও ন্যায়বিচার পেলাম না। আমাদের হস্টেলে যে বহিরাগতেরা ঢুকল, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বুধবারই উপাচার্যের সব ফ্যাকাল্টির ডিন এবং অধিকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কথা জানিয়ে দুপুরেই তিনি বাংলোয় ফিরে যান। বৃহস্পতিবারও সেই বৈঠক হয়নি।

উপাচার্য বলেন, ‘‘ডিনদের সরাতে হলে ২১ দিন আগে নোটিস দিয়ে কর্মসমিতির সভা ডাকতে হয়। সেই অনুযায়ী প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমি অফিসেই আছি। ক্লাসও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।’’ জুলেখা বলেন, ‘‘সামনের সপ্তাহের গোড়ায় সম্ভবত সব ছাত্রছাত্রীরা ফিরে আসবে। তখন সবাই আলোচনা করে পরবর্তী কর্তব্য ঠিক করা হবে।’’

BCKV Principal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy