আর মুর্শিদাবাদের ফোন ধরছেন না শুভেন্দু অধিকারী। উত্তর দিচ্ছেন না মেসেজেরও। কেউ কেউ কখনও ফোনে পেয়ে গেলে ফোনে দাদার সেই পরিচিত গলার স্বরটি কিন্তু পাচ্ছেন না। এ সব অভিযোগ করছেন জেলায় ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত নেতারাই। এমনকি এক অনুগত বিড়ি মালিক কয়েকদিন আগে শুভেন্দুকে ফোে পেয়ে কিছু অনুরোধ করার পরে পরিষ্কার উত্তর পেয়েছেন, ‘মুর্শিদাবাদে বিজেপির সাংগঠনিক কোনও বিষয়ে তিনি নাক গলাবেন না’। তাতে সংশয় বেড়েছে এ জেলার শুভেন্দু অনুগতদের। তাঁদের মধ্যে যাঁরা কোনও অবস্থাতেই বিজেপিতে যেতে পারবেন না, তাঁরা পড়েছেন আরও মুশকিলে। কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়েও তাঁদের কেউ কেউ এখনও শুভেন্দুর মুখের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বলে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর।
দলের মধ্যে শুভেন্দুর বিদ্রোহী মনোভাবে অনেকটাই খুশি হয়েছিলেন এ জেলায় তার অনুগতরা। তাঁরা অনেকেই শুভেন্দু কী করবেন, সে দিকে চেয়ে রয়েছেন। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে শুভেন্দু ফোন না ধরায়, মেসেজ এর উত্তর না দেওয়ায়, আপাতত জেলায় কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন তার অনুগত বলে পরিচিত সেই সব রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা।
এদের অনেকেই জেলায় তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব রেখে চলছিলেন শুভেন্দুর দিয়ে তাকিয়ে। তাঁরাই জানাচ্ছেন, প্রথমদিকে শুভেন্দু তাদের চুপচাপ থাকতে বলে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। শুধু তাই নয়, এক এক করে যখন তৃণমূলের পদগুলো ছাড়ছিলেন, তখন শুভেন্দু একবার বেলডাঙায় ও একবার মারগ্রামে এসেছিলেন। অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।