বিজেপি গোটা দেশকে বিক্রি করতে বসেছে বলে মুর্শিদাবাদে এসে অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘কালো টাকা দেশে ফেরানোর ব্যাপারে কোনও হোলদোল নেই কেন্দ্রের। কেন্দ্র সরকার রেলের ভাড়া বাড়িয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। পণ্য মাসুলও বাড়িয়েছে অস্বাভাবিক হারে। তিনি বলেন, ‘‘আর দেশের প্রধানমন্ত্রী কোটি টাকা দরের পোশাক পড়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করছে।’’
সাকুল্যে দিন আটেক পরে পুরভোট। কোনও দলই এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। ডান-বাম সব পক্ষেরই হেভিওয়েট নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও ধুলিয়ানে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করলেন বেলডাঙায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
এ দিন বেলডাঙা শহরের জনকল্যাণ ময়দানে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চে বসে থাকা ১৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদকে কংগ্রেস ও সিপিএম পিছিয়ে রেখেছে। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে বেলডাঙা পুরসভায় ক্ষমতাসীন। কিন্তু তারা এলাকায় কোনও উন্নয়নই করেনি। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এসে অনেক উন্নয়ন করেছি। বেলডাঙার মানুষ আমাদের ক্ষমতায় আনলে এখানেও উন্নয়ন করতে পারব।’’
বেলডাঙার ওই সভায় রীতিমতো অধীর চৌধুরীর নাম করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অধীরবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেস যদি চমকায় তাহলে আমরাও চুপ করে বসে থাকব না। প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।’’
সংখ্যালঘু প্রধান বেলডাঙায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে আমরা সংখ্যালঘুদের তোষণ করছি। এটা ভুল। আমরা তাদের উন্নয়নের জন্য সদর্থক পদক্ষেপ করেছি। বরং বাকি দলগুলি তাদের কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে।’’
তবে শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, এ দিন মুর্শিদাবাদে হাতির উৎপাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিন দশেক আগে মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু এলাকায় দলছুট তিনটি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই হাতির দল পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ঢুকে একজনকে আছড়েও মারে। এ দিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে বনমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করব।’’