Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
Swastho Sathi

স্বাস্থ্যসাথীর সহায় মিলল, অস্ত্রোপচার হল কলকাতায়

আজিজুল আনসারির স্ত্রী মর্জিনা   বিবি জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যখন পুরসভা থেকে করতে বলে তখন এর যে এতটা গুরুত্ব তা আমরা বুঝতে পারেনি।

অস্ত্রোপচারের পরে। নিজস্ব চিত্র

অস্ত্রোপচারের পরে। নিজস্ব চিত্র

জীবন সরকার 
ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৫৫
Share: Save:

রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে দুয়ারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সব রাজ্য বাসীকে নিয়ে আসায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। হাতেনাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুফল পেলেন ধুলিয়ানের এক বাসিন্দা। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে যে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন সেই ঘোষণা মতো কার্ডের মাধ্যমে বাইপাস সার্জারি করলেন ধুলিয়ান পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নগরের আজিজুল আনসারি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে খুশি পরিবার।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ধূলিয়ান পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনগর এলাকার ওই ব্যক্তি আজিজুল পেশায় শ্রমিক। সম্প্রতি তার হঠাৎ করে বুকে ব্যথা উঠে। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে কোনও সমাধান না হওয়ায় কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান তিনি।সে খানে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় হার্ট বড় হয়ে যাওয়ায় বাইপাস সার্জারি করতে হবে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকার আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েন আজিজুল আনসারীর পরিবার। সেই সময় হাসপাতাল থেকে জানান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে অপারেশন করাতে পারবেন তিনি।

বেশ কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করেছিলেন ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার। আজিজুলের পরিবার বিপিএল তালিকা ভুক্ত তারা আরএসবিওয়াই (রাষ্ট্রীয় সাস্থ্য বিমা যোজনা) থাকায় তাদের সেই কার্ডের পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দিয়েছিল পশ্চিম বঙ্গ সরকার। আর তাতেই কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস আসে পরিবারে। সেই কার্ডের মাধ্যমেই প্রায় ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে অপারেশন হয়ে যায়। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে অপারেশন করতে পেয়ে খুশি হন পরিবার।

আজিজুল আনসারির স্ত্রী মর্জিনা বিবি জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যখন পুরসভা থেকে করতে বলে তখন এর যে এতটা গুরুত্ব তা আমরা বুঝতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘‘কার্ড পাওয়ার পর ভেবেছিলাম এ আর কোন কাজে লাগবে। চোখের জন্য বহরমপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে তার জানিয়ে দেয় তাদের কাছে এই কার্ডে চিকিৎসা হয় না। তখন ভাবলাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কোন মুল্য নাই। কিন্তু কলকাতায় যখন এই কার্ডের কথা বলল তখন বুঝলাম এর গুরুত্ব কি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আমার স্বামী আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.