Advertisement
E-Paper

গোলমালের আশঙ্কায় বন্ধ সভা

গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল ফরাক্কার কলেজে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভা। রবিবার ওই সভা হওয়ার কথা ছিল ফরাক্কা কলেজের মাঠে। এ দিনের সভার মুখ্য উদ্যোক্তা ছিলেন ফরাক্কা ব্লক তৃণমূলের অপসারিত প্রাক্তন সভাপতি লুৎফল হক। অভিযোগ, লুৎফল ওই সভায় ডাকেননি ফরাক্কার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সাহাজাদ হোসেন ও জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সোমেন পাণ্ডেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ০২:০৫
গাছতালায় মহিলাদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র

গাছতালায় মহিলাদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র

গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল ফরাক্কার কলেজে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভা। রবিবার ওই সভা হওয়ার কথা ছিল ফরাক্কা কলেজের মাঠে।
এ দিনের সভার মুখ্য উদ্যোক্তা ছিলেন ফরাক্কা ব্লক তৃণমূলের অপসারিত প্রাক্তন সভাপতি লুৎফল হক। অভিযোগ, লুৎফল ওই সভায় ডাকেননি ফরাক্কার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সাহাজাদ হোসেন ও জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সোমেন পাণ্ডেকে। এ বিষয়ে তাঁরা নালিশ জানান দলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের কাছে। অভিযোগ জমা পড়ে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কাছেও। এরপরই দলের তরফে ওই সভাকে ঘিরে গোলমাল হতে পারে এই মর্মে জানান হয় পুলিশ-প্রশাসনকে। তারই ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের কাছে ঝামেলার আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপোর্ট পাঠান ফরাক্কার আইসি ও বিডিও।
শনিবার রাতে জেলা প্রশাসন দু’টি রিপোর্টই পাঠান কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপরে ফরাক্কা কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সভার অনুমতি বাতিল করে দেন।

কলেজ মাঠের পরিবর্তে বিন্দুগ্রামের আমবাগানের সভা করেন উদ্যোক্তারা। সভায় ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সম্পাদক মজিবুর রহমান, সামশেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাওসার আলি, ধুলিয়ান শহর তৃণমূলের সভাপতি মেহেবুব আলম-সহ অন্য নেতারা। কাউসার আলি বলেন, ‘‘উদ্যোক্তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাই এসেছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘ফরাক্কার ওই সভা অবৈধ। কারণ, আয়োজকরা ব্লক বা জেলা সভাপতির অনুমতি নেননি।’’ সভার অন্যতম উদ্যোক্তা লুৎফল হক অবশ্য বলছেন, ‘‘সভার কথা ব্লক থেকে জেলা-দলের সব স্তরের নেতৃত্বকেই জানানো হয়েছিল। এমনকী সভায় হাজির থাকার কথা ছিল, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ানেরও।’’

যদিও আবু সুফিয়ানের দাবি, তিনি ওই সভার কথা জানতেন না। ফরাক্কার ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহাজাদ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের না জানিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ একইভাবে সোমেন পাণ্ডেও বলেন, ‘‘আমাদের সভায় আমন্ত্রণ না জানালে কর্মী বিক্ষোভ হতে পারে জেনে হয়ত সভা বাতিল করেছে পুলিশ।’’ সুতির বিধায়ক তৃণমূলের ইমানি বিশ্বাসেরও দাবি, তিনিও ওই সভার বিষয়ে কিছু জানতেন না। এ দিকে, বিধানসভা ভোটের দিকে খেয়াল রেখে বুথ কমিটির সভা শুরু করে দিল তৃণমূল। রবিবার ফরাক্কার বল্লালপুর ও তিলডাঙ্গায় কর্মিসভা করেন দলের ব্লক সভাপতি। সুতিতে রাতুরি, ফতল্লাপুর ও খিদিরপুরেও সভা করে শাসকদল।

এ দিন তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ফরাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হক তিলডাঙ্গায় তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। ফরাক্কা থানায় এ নিয়ে অভিযোগও হয়েছে। মইনুল হক অবশ্য বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে তৃণমূল নোংরামি করছে।’’

farakka trinamool TMC vandalism college INTTUC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy