জয়: আমের টেক্কা। নিজস্ব চিত্র
আমের কত বাহার, কত স্বাদ-গন্ধ। কিন্তু তার মধ্যে হিমসাগর আর ল্যাংড়ারই যে মস্তানি বেশি, তা আর নতুন করে বলার নয়।
আর ওই দুই আম উৎপাদনেই সেরার শিরোপা পেল নদিয়া। সম্প্রতি কলকাতা মিলন মেলায় বাংলা আম উৎসবে। লালবাগের মোলামজাম আর চম্পাও উৎসব মাত করেছে। বিশেষ প্রজাতি বিভাগে তারা রাজ্যের সেরা। আর, প্রথাগত প্রজাতি বিভাগে ফরাক্কা থেকে যাওয়া হিমসাগর পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার।
রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দফতর আয়োজিত ওই মেলায় নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বাঁকুড়া ও দুই ২৪ পরগনার চাষিরা আম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। শান্তিপুরের শ্যামনগরের চাষি গৌতম ভৌমিক নিয়ে গিয়েছিলেন ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি ও মল্লিকা। তিনিই হিমসাগর ও ল্যাংড়ার সুবাদে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। নদিয়ার উদ্যানপালন আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঘোড়াইয়ের দাবি, “আবারও প্রমাণ হল যে সেরা জাতের আম উৎপাদনে নদিয়াই সেরা।” মুর্শিদাবাদ শহরের কুর্মিটোলার আমচাষি অভীক বিশ্বাস মোলামজাম, চম্পা, কোহিতুর নিয়ে গিয়েছিলেন উৎসবে। তাঁর মোলামজাম আর চম্পা জিতেছে। মুর্শিদাবাদের বহু জায়গায় হিমসাগর পরিচিত সাদোল্লা নামে। ফরাক্কার ভোলাকান্দির চাষি সুলেমান শেখ অমৃতভোগ, হিমসাগর আর গোলাপখাস নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। হিমসাগর জিতেছে দ্বিতীয় পুরস্কার। সুলেমানের আক্ষেপ, “অন্য সব আম কাঁচা ছিল। ফলে তাদের স্বাদ-গন্ধ দেখানোর সুযোগ পাইনি।”
প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে ১৭০টি আম গাছ রয়েছে শ্যামনগরের গৌতম ভৌমিকের। গত বছরই তাঁকে দিল্লির আম প্রদর্শনীতে পাঠানো হয়েছিল। এই মেলায় তিনি হিমসাগর ও ল্যাংড়া বিক্রি করেছেন একশো টাকা কেজি দরে। আম্রপালি ও মল্লিকা ৬০ টাকা। ১৫ থেকে ১৮ জুন, এই চার দিনে পাঁচ টন আম বিক্রি করেছেন তিনি। গৌতম বলেন, “লক্ষ্য ছিল, এমন আম করব, যাতে ভাল দাম পাই। পুরস্কার পাব, ভাবতে পারিনি।” মুর্শিদাবাদে এক সময়ে নবাব ও তাঁদের পরিষদবর্গের বাগানে বিচিত্র প্রজাতির আম চাষ শুরু হয়েছিল। পরে সাধারণ চাষিরাও নামেন। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের সহ অধিকর্তা শুভদীপ নাথ জানান, মোলামজামের ওজন ৪০০-৫০০ গ্রাম, মিষ্টি গন্ধ। চম্পা ১০০-১৫০ গ্রাম, ঘরে রাখলে চাঁপাফুলের গন্ধে ভরে যায়। রসিকে তার কদর বোঝে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy