গাজনায় ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি এক তৃণমূল নেতার দোকান দখলের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবারের ওই ঘটনায় হাঁসখালির গাজনা ও ময়ূরহাট বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে হাঁসখালির বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উপরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। এমনকি, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ও দখল করা হয়েছে। এ দিনও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হাঁসখালির গাজনা ও ময়ূরহাট এলাকায় বিজয় মিছিল বার করেছিল বিজেপি। অভিযোগ, ময়ূরহাট বাজার দিয়ে বিজয় মিছিল যাওয়ার সময় একদল লোক মিছিল থেকে বার হয়ে ময়ূরহাট ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য শরিফুল ইসলামের নবনির্মিত দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করার পাশাপাশি দোকানে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। শরিফুল এলাকায় তৃণমূলের নেতা বলে পরিচিত। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শরিফুল ইসলাম বলেন, “ভেবেছিলাম ইদের পরে দোকানটা চালু করব। কিন্তু বিজেপির লোকজন পতাকা টাঙিয়ে দখল করে নিয়েছে। বাধা দিতে গেলে অশান্তি হত। এখন প্রশাসনই ভরসা।”
একই ভাবে গাজনা বাজারে বিজয় মিছিল চলার সময় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাতেও এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার পার বাটকেমারি, বেড়-হাঁসখালি এলাকায় বিজেপির লোকজন তৃণমূল কর্মীদের উপকে হামলা চালাচ্ছে। তৃণমূলের হাঁসখালির ব্লক সভাপতি কল্যাণ ঢালি বলছেন, “বিজয় মিছিলের নাম করে কার্যত সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। একের পর এক জায়গায় আমাদের দলের লোকজনের উপরে হামলা চালাচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, “আমাদের কেউ এই সব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূলের লোকজন আমাদের মিছিলে ঢুকে গিয়ে নিজেদের পুরনো রাগ মেটাচ্ছে। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল পুলিশ। তবে রবিবার রাত ৮ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি বলে দাবি পুলিশের।
অন্য দিকে, কীর্তনের আসরে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল ভীমপুরের দফরপোতায়। এ দিন ছিল কীর্তনের শেষ দিন। সেখানে বিজেপির লোকজন জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধে। খানিক পরে ঘটনাস্থলে বোমা পড়েও বলে অভিযোগ। খবর পয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy