তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চাষিদের উপর ‘অত্যাচার চালাচ্ছে’ বিএসএফ। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এমন অভিযোগ তুলে সরব হলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
বিধায়কের অভিযোগ, ভগবানগোলা বিধানসভার আখেরিগঞ্জ, হনুমন্তনগর এবং খড়িবোনা অঞ্চলের উত্তর পূর্বে নির্মল চর, আরাজি ভাটপাড়া এবং ডিহি ডুমুরিয়া মৌজায় প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি রয়েছে ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা চাষিদের। বর্তমানে ওই সব জমিতে সর্ষে, কলাই ইত্যাদি ফসল রয়েছে। কিন্তু জমির মালিক তথা চাষিরা সেই ফসল কেটে বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতি বছরই এলাকার চাষিরা জমিতে ফসল লাগান। কিন্তু বিধায়কের দাবি, পড়শি দেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতীরা সেই সব ফসল কেটে বাংলাদেশে নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইদ্রিস আবেদন করেন, যাতে ভারতীয় চাষিরা তাঁদের জমিতে চাষ করা ফসল কেটে নিয়ে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার জন্য। তাঁর অভিযোগ, “ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকার চাষিরা সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের জমিতে চাষ করতে গেলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের উপর অত্যাচার করে। এমনকি, বিএসএফের একদল জওয়ান তাদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজও করিয়ে নেন।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “বিএসএফ জওয়ানদের সকলেই খারাপ নন। অনেকেই ভাল আছেন। কিন্তু ভগবানগোলা এলাকার অনেক চাষিকেই দু’-একজন জওয়ান নানা হুমকি দেন। এমনকি, আমাকেও তাঁরা হুমকি দেন বলে গ্রামবাসীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন আমায়।’’ ইদ্রিস এ দিন পরে ফোনে বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকা ভগবানগোলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় চাষিরা খুব সমস্যায় আছেন। তাই এই প্রসঙ্গটি বিধানসভায় তুলেছি। আশা করছি, এ বার এর সুরাহা হবে।”
তবে বিধায়কের অভিযোগ নিয়ে ওই এলাকায় বিএসএফের কোনও কর্তাই মুখ খুলতে চাননি। বিধায়কের অভিযোগের বিষয়টি মেসেজ করে জানানো হয় বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজিকেও। উত্তর মেলেনি তাঁরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy