জাকির হোসেন। — ফাইল চিত্র।
ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় নানা কারণে। আয়কর দফতর আগে থেকে তাঁকে জানালে তিনি হিসাব দিতে পারতেন। আয়কর হানায় টাকা উদ্ধার নিয়ে এই ব্যাখ্যাই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। বিড়ির কারখানা, চালকল-সহ নানা ব্যবসা রয়েছে জাকিরের। বুধবার তাঁর কারখানা, গুদাম এবং দফতরে হানা দিয়ে ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই জানা গিয়েছে আয়কর সূত্রে। যার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলেও আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে যা বলার তিনি আদালতেই বলবেন বলে জানিয়েছেন জাকির। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকিরের সুতি থানার ঔরঙ্গাবাদের বাড়িতে হাজির হন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর তল্লাশি শুরু হয় জাকিরের বিড়ি কারখানা, তাঁর দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি বন্ধ থাকা গুদামে। টানা ১৭ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে মোট ১৫ কোটি টাকা। টাকার পাশাপাশি, বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। জাকিরের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘আমার একাধিক কারখানা রয়েছে। আর সেই সব তেল এবং চালের কারখানার জন্য নগদ টাকা দিয়েই শস্য কিনতে হয়। পাশাপাশি, বিড়ি কারখানায় শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহের শেষে মজুরিও দিতে হয়। বিড়ির মশলার ক্ষেত্রেও অনেক সময় নগদে টাকা মেটাতে হয়। সেই টাকাই বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখা ছিল। এ ভাবে যদি প্রতি ক্ষেত্রে আইনের অজুহাতে বেঁধে ফেলা হয় তবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। দেখি আদালতে কী হয়!’’
বুধবার রাতে আয়কর দফতরের তল্লাশি শেষের পর জাকির দাবি করেছিলেন, ‘‘আমরা ব্যবসায়ী। সব সময় কর দিয়ে ব্যবসা করি। করদাতা হিসাবে আমি মুর্শিদাবাদের শ্রেষ্ঠ করদাতা। আমাদের আয়কর দেওয়ায় কোনও ত্রুটি নেই। তাঁরা বলে গিয়েছেন, আমি সহযোগিতা করেছি। এটা লিখে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy