Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গুলিতে জখম প্রধান-সহ দুই

পাশে বসে থাকা সাইফুলেরও বাঁ পায়ে গুলি লাগে। সোমবার সকালে রাধারঘাট-২ পঞ্চায়েতের রানিনগর-শিয়ালমারা এলাকার চার জনের নামে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

জখম: মেডিক্যালে জখম প্রধান। নিজস্ব চিত্র

জখম: মেডিক্যালে জখম প্রধান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বহরমপুরের রাধারঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আকবর আলি। রবিবার রাতে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের কাছে ওই ঘটনায় গুরুতর জখম আকবর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে সাইফুল মোল্লা নামে আরও এক জন জখম হয়ে হাসপাতালে। বহরমপুরের আইসি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ওই ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে খাগড়াঘাট স্টেশনে ঢোকার মুখে নিজের সারের দোকানের বাইরে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল মোল্লা ও আকবর বসেছিলেন। সেই সময়ে দু’টি মোটরবাইকে চার জন এসে পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। আকবর জানান, ‘‘ওই দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি ডান পায়ের হাঁটুর নীচে লাগে। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি।’’

পাশে বসে থাকা সাইফুলেরও বাঁ পায়ে গুলি লাগে। সোমবার সকালে রাধারঘাট-২ পঞ্চায়েতের রানিনগর-শিয়ালমারা এলাকার চার জনের নামে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রধানের অভিযোগ, এলাকার উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত পরিচালনায় কোনও খামতি না থাকায় সিপিএমের ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুনের চেষ্টা করে।

একই অভিযোগ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমের ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম করে থাকে। ঘটনার রাতে মদ্যপ অবস্থায় এসে আমাদের পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ করে গুলি চালায়। খুব অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।’’ সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য জানান, সিপিএম ওই এলাকায় কোথায়! নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব চাপা দিতে এখন সিপিএমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে শাসক দল। এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।

আকবর আলি ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের হয়ে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। পরে ২০১৩ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন এবং প্রধান পদে নির্বাচিত হন। ১৬ আসনের ওই রাধারঘাট-১ পঞ্চায়েতে তার পরেই প্রধান-সহ কংগ্রেসের ৮ জন দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সঙ্গে বামপন্থী ৮ জনের মধ্যে ৫ জন দলত্যাগ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE