জামিন হল না শান্তিপুর কলেজে গোলমালের ঘটনায় ধৃত টিএমসিপি নেতা মনোজ সরকারের। পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে বুধবার তাঁকে ফের রানাঘাট আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে সাত দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মনোজের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সমীর দাস নামে তার এক সঙ্গীকেও। পুলিশ হেফাজতের শেষে তাঁকেও সাত দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, পুলিশ হেফাজতের পরে সরাসরি জামিন সাধারণত মেলে না। মনোজের তা পাওয়ার সম্ভাবনা বিশেষ ছিল না।
তা সত্ত্বেও সকাল থেকে আদালত চত্বরে ভিড় করতে দেখা গিয়েছিল মনোজের অনুগামীদের। দিব্যি আড্ডা মারতে, হাসাহাসি করতেও দেখা যাচ্ছিল তাঁদের। হয়তো তাঁদের একটা অংশের ধারণা ছিল, মনোজের জামিন হয়ে যাবে। বেলা ৩টের পরে জামিন নাকচ হওয়ার নির্দেশ শুনে তাঁরা হতাশ হয়ে যান। ভিড় পাতলা হতে থাকে। সন্ধ্যায় পুলিশ মনোজকে রানাঘাট জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে গুটি কয়েক সাঙ্গোপাঙ্গ ছাড়া কাউকে আর দেখা যায়নি।
গত ২৯ অগস্ট শান্তিপুর কলেজে ঢুকে এক দল যুবক এক শিক্ষকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাতে সরাসরি মনোজের নাম না থাকলেও অধ্যক্ষের ঘরে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে হাত তুলে শাসাতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ পরে দু’জনকে ধরলেও মনোজ ছিল বেপাত্তা। ইতিমধ্যে টিএমসিপি তাকে শহর সভাপতির পদ থেকে ছেঁটে ফেলে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, শিক্ষাঙ্গনে যথেচ্ছাচার বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার রাতে মনোজ গ্রেফতার হন। যদিও আসলে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন বলে সন্দেহ অনেকেরই। খুনের হুমকি দেওয়া ছাড়াও অস্ত্র আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার প্রামাণিক বলেন, “গত পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ে তদন্তের কাজে কোনও রকম সাহায্য করেননি মনোজ। তিনি জামিন পেলে তদন্তের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই তাঁকে জামিন না দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম।”
মনোজের আইনজীবী অপূর্ব ভদ্র পাল্টা বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy