বন্ধ হওয়ার পরে আংশিকভাবে চালু হয়েছিল। চলাচল করছিল ছোট গাড়ি। কিন্তু ফের সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হতে চলেছে নদিয়ার কল্যাণী এবং হগলির বাঁশবেড়িয়ার মধ্যে যোগাযোগের ঈশ্বরগুপ্ত সেতু।
শনিবার থেকে ৬ মে পর্যন্ত সেতু পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি পূর্ত বিভাগ। তবে তার পরে সেতু পুরোপুরি নাকি আংশিকভাবে খোলা হবে, তা জানায়নি পূর্ত কর্তৃপক্ষ। তার ফলে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে জেলা পরিষদ জানিয়েছে, ৬ মে-র পরে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে ওই সেতু।
সেতু ফের বন্ধ হওয়ায় বিপদে পড়বেন দুই জেলার অসংখ্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। হুগলি থেকে প্রচুর বাসিন্দা কল্যাণীর দু’টি হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা করাতে আসেন। সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। সেতু চালু না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা, নৌকা বা ভুটভুটিতে পারাপার। কিন্তু, সেতু চালু থাকায় নদীপথ তেমন ব্যবহার হয়না। ফলে সেই ব্যবস্থাও তেমন পোক্ত নয়।
১৮ ডিসেম্বর ভোরে এই সেতুতে ফাটল ধরা পড়ে। এক ভ্যান চালক ফাটল দেখে টোল আদায়কারীদের খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। বেলা বাড়তে ফাটল বেড়ে সেতুর কল্যাণী প্রান্তের একটি দিক বসে যায়। ঘটনার পরের দিন আতঙ্ক বাড়িয়ে আরও বসে যাওয়ায় সেতুর উপর দিয়ে হাঁটা-চলাও বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য ৫ জানুয়ারি ওই সেতুর উপরে একটি অস্থায়ী সেতু চালু করা হয়। তাতে সমস্যা কিছুটা মেটে। তবে বড় গাড়ি চলাচল না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে।
হুগলি জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সেতুর যে গার্ডার ভেঙে গিয়েছিল। সেটি নতুন করে তৈরি হয়েছে। সেটি চালু করতে হলে কয়েকদিন যান চলাচলা বন্ধ রাখা দরকার। তার পরেই সেতু পুরোপুরি খুলে যাবে।’’ এই বিষয়ে তথ্য দিতে রাজি হননি হুগলি পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সৌগত রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy