দিনকয়েক আগে বিরোধী সদস্যদের ভাঙিয়ে করিমপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছিল তৃণমূল। এর আগে দল একই কায়দায় চাপড়া, হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতিতেও ক্ষমতায় এসেছে শাসকদল তৃণমূল। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি। সোমবার ওই পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম ও কংগ্রেস সদস্যদের একাংশ কৃষ্ণনগরে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফলে ওই প়ঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে আসা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৮টির দখল নেয় সিপিএম। এর মধ্যে তেহট্ট মহকুমার চারটি পঞ্চায়েত সমিতিরই দখল নেয় বিরোধীরা। তারপর থেকেই শাসকদলের নজরে ছিল ওই মহকুমার পঞ্চায়েত সমিতিগুলির দিকে। সদস্য বিধানসভা নির্বাচনে তেহট্ট মহকুমার সব কটি আসনেই জয়ী হয় শাসকদল। বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই মহকুমার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে বিরোধীদের ভাঙন।
করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল আটটিতে জয়ী হয়। কংগ্রেস একটি ও সিপিএম ২১টি আসনে জেতে। এ দিন সিপিএমের নয় ও কংগ্রেসের একজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮। অর্থাৎ সেখানে বোর্ড গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা এখন তৃণমূলের হাতে।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া মমতাজ মালিথা, আবীর বিশ্বাসরা বলেন, ‘‘আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের অনৈতিক জোটকে মানতে পারিনি। তাছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়ন শুরু হয়েছে আমরা তাতে অংশ নিতে চাই।” এ দিন ওই দলত্যাগীরা কৃষ্ণনগরে জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। গৌরীবাবু বলেন, ”বিধানসভা ভোটেই দেখা গিয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিরোধীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই সিপিএম ও কংগ্রেসের সদস্যরা আজ আমাদের দলে যোগ দিলেন।”
এ দিন মুরুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরাও তৃণমূলে যোগ দেন। ওই পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৭টি, তৃণমূল ৪টি ও কংগ্রেসের একটিতে জেতে। এ দিন সিপিএমের ৫ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য বেড়ে দাঁড়াল নয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘ওই সদস্যরা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy