শোক-বিদ্বল: ধুলিয়ানে। নিজস্ব চিত্র
লরি থামিয়ে, ‘একটু নিয়ে যাবেন ভাই’ বলেই লরিতে উঠেছিল সে। নেমে গিয়েছিল রক্ত ভেজা ছুরি মুছতে মুছতে।
লরির চালক সন্দীপ মন্ডলকে (৩৫) কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে নামার আগে সে খালাসি জানে আলমকে বলে গিয়েছিল ‘তুই কিন্তু কিছুই দেখিসনি!’
পুলিশের জেরায় জানে আলম সে কথা জানালেও তাকে অবশ্য সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে সন্দীপের কাছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ছিল। আততায়ীর লক্ষ্য ছিল ওই টাকাই।
বৃহস্পতিবার রাতে সমশেরগঞ্জের ধুলিয়ান-পাকুড় রাজ্য সড়কের চসকাপুরের কাছে ওই ঘটনায়, জানে আলম ছাড়া ওই টাকার কথা জানত না কেউ, তা হলে? ওই লরির খালাসিকে তাই সন্দেহের বাইরে রাখতে পারছে না পুলিশ।
ওই খালাসির দাবি, লরির কেবিনে চালকের পাশে ঘুমিয়ে ছিল সে, জানতেই পারেনি ডাকাতির ঘটনা। তবে তার কথায় যথেষ্ট অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।
চালক সন্দীপ এবং খালাসি জানে আলম দু’জনেই ধুলিয়ান লাগোয়া ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। লরি মালিক মোক্তার শেখ জানান, পাথর নিয়ে য়াওয়ার কাজ করত তাঁর লরি। বিহারের দ্বারভাঙা থেকে খালি লরি নিয়ে দু’জনে ধুলিয়ান হয়ে পাকুড়ে ফিরছিলেন। চালকের কাছে ছিল পাথর কেনার ৭০ হাজার টাকা।
পুলিশকে তিনি বলেন, ‘‘জানে আলম, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় আমার বাড়ির সামনে এসে জানায় দুষ্কৃতীরা সন্দীপকে মেরে টাকা লুঠ করে পালিয়েছে। শাসিয়ে গিয়েছে তাকেও।’’
পুলিশ জানায়, জানে আলমের বর্ণনা মত ডালখোলার কাছে দুই ব্যক্তি তাদের লরিতে উঠেছিল। তারা চালকের চেনা হলেও সে তাদের সে চেনে না। এর পর লরির কেবিনে খালাসি ঘুমিয়ে পড়ে। ধুলিয়ান পেরোতেই তার ঘুম ভাঙতেই সে দেখে লরি দাঁড় করিয়ে চালককে মারধোর করছে লরির ওই দুই যাত্রী। যাত্রীরা লাঠি দিয়ে মেরে খালাসিকে লরি থাকে নামিয়ে দেয়। লরি থেকে নেমে ভয়ে দৌড়ে কিছু দূরে গিয়ে অন্য একটি লরিকে আসতে দেখে তাতে উঠে ফের ঘটনাস্থলে যায় সে। এরপর কেবিনে পড়ে থাকা চালকের দেহ নিয়ে স্থানীয় অনুপনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy