উদ্ধার করা জাল নোট। বুধবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
ফের জাল নোট উদ্ধার। এবং ঘটনাস্থল সেই মুর্শিদাবাদ। ৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকার জাল নোট-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শমসেরগঞ্জের পিলকি মোড়ের ঘটনা। ধৃতদের এক জনের বাড়ি বাংলাদেশে। অন্য জন ঝাড়খণ্ডের রাজমহলের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রহিম শেখের বাড়ি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। আর মিজান শেখ রাজমহলের বালুগাও সাত্তারটোলার বাসিন্দা। ধৃতদের বুধবার জঙ্গিপুরে এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই নিয়ে চলতি বছরে ৮০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করল জেলা পুলিশ।
বুধবার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “বাংলাদেশ থেকে মালদহের বৈষ্ণবনগর হয়ে এ দেশে ঢুকেছিল রহিম। সেখানে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মিজান শেখ-সহ দু’জনকে জাল নোট দেওয়ার জন্য এসেছিল।” পুলিশ সুপারের দাবি, রহিম জাল নোট বাংলাদেশ থেকে এনেছিল। তবে এই জাল নোট কোথায় ছাপানো হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেইশের রহিম শেখ এর আগেও একাধিক বার বাংলাদেশ থেকে বিনা পাসপোর্টে মালদহের বৈষ্ণবনগর হয়ে এ দেশে ঢুকেছিল। তাঁর সঙ্গে যোগ রয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরের সাজু শেখের। পুলিশের দাবি, সাজু তাকে সাহায্য করে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ থেকে রহিম বৈষ্ণবনগরে এসে সাজুর কাছে ওঠে। তার কাছে ছিল ৩৭৯টি ২০০০ টাকার জাল নোট, এবং ৯০ টি ৫০০ টি জাল নোট। রহিমের উদ্দেশ্য ছিল ঝাড়খণ্ডের রাজমহলের মিজান শেখ ও বিশু শেখের হাতে ওই জাল নোট দেওয়া। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিম বৈষ্ণবনগর থেকে নদীপথে শমসেরগঞ্জে আসে। মিজান আসে ট্রেনে। শমসেরগঞ্জের পিলকি মোড়ে মিজানের হাতে অর্ধেক টাকা দিয়ে, বিশুকে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই সময় রহিম ও মিজানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ বিশুর খোঁজ পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, জাল নোট মামলায় ধৃত এই দু’জন ছাড়াও মালদহের বৈষ্ণবনগরের সাজু শেখ ও রাজমহলের বিশু শেখও জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy