Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

দুয়ারে ভোট, মুঙ্গেরের অস্ত্র নিয়ে ধৃত দুই

বহরমপুরের চুনাখালি-নিমতলার কাছে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই যুবকের কাছে মিলেছে ১০টি পিস্তল এবং ৬৭ রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম জুমরাতি আলম ওরফে রশিদ।

ধৃত দু’জন। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

ধৃত দু’জন। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৮
Share: Save:

অদূরে লোকসভা নির্বাচন। তার নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে, ভোটের অনুষঙ্গে অস্ত্রের আমদানি শুরু হয়ে গেল! এমনই মনে করছে পুলিশ। মঙ্গলবার, বহরমপুর শহরের চুনাখালি এলাকা থেকে এক ব্যাগ অস্ত্র উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার স্পষ্টই বলে দিলেন, ‘‘এই অস্ত্র আমদানি ভোটেরই ইশারা। বিহারের মুঙ্গের থেকে ট্রেন-পথে জামালপুরে হয়ে এই অস্ত্র ঢুকছে জেলায়।’’

বহরমপুরের চুনাখালি-নিমতলার কাছে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই যুবকের কাছে মিলেছে ১০টি পিস্তল এবং ৬৭ রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম জুমরাতি আলম ওরফে রশিদ। বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায়। দ্বিতীয় জনের নাম তোফেল শেখ। বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগর
থানা এলাকায়। তদন্তের প্রয়োজনে আদালত তাদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

এই নিয়ে জানুয়ারি মাসের ২৯ দিনে এ জেলা থেকে ১১২টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল, মাসকেট ও ওয়ান শটার), ২৭৪টি গুলি উদ্ধার হল। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে।

পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে— ২০১৮ সালে থেকে থেকে চলতি বছরের প্রথম মাসের ২৯ দিনে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অস্ত্র পাচারকারীদের গ্রেফতারের সংখ্যা অবশ্য অনেক বেশি। ২০১৮ সালে মোট ৩৮৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৮৫টি গুলি- সহ মোট ৪৩২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, বাজেয়াপ্ত করা আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকাংশই এসেছে বিহারের মুঙ্গের থেকে। বুধবার সকালে বহরমপুরের চুনাখালি-নিমতলা থেকে বাজেয়াপ্ত করা পিস্তলগুলো এসেছে বিহারের মুঙ্গেরের জনৈক দেবেন্দ্রনাথের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানা থেকে। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘বেআইনি ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দৌলতাবাদ থানার চোদ্দো মাইলের কাছে। তার আগেই বহরমপুর থানার পুলিশ ও এসওজি মিলে তা আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে।’’

মুঙ্গের থেকে অস্ত্র পাচারকারীরা যোগাযোগ করে মালদহের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তার পর সড়কপথে বহরমপুরে পৌঁছয়। ফোনে আগাম যোগাযোগের ভিত্তিতে বহরমপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে যায় ডোমকল, জলঙ্গি, ইসলামপুর, দৌলতাবাদ, লালগোলা, বেলডাঙা, রেজিনগর, হরিহরপাড়া, কান্দি, বড়ঞা ও ভরতপুর এলাকায়। সুতি, শমসেরগঞ্জ ও রঘুনাথগঞ্জে অস্ত্র পৌঁছে যায় ফরাক্কা থেকে সরাসরি।

সকেট বোমা ও মাসকেট তৈরির জন্য বেলডাঙা, দৌলতাবাদ, সুতি, শমসেরগঞ্জ ও রঘনাথগঞ্জের মতো বেশ কিছু থানা এলাকার কুখ্যাতি থাকলেও পিস্তলের জন্য কয়েক দশক ধরে মুর্শিদাবাদ নির্ভরশীল মুঙ্গেরের উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Ammunition Illegal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE