রোষ: পুড়ছে কার্যালয়ের জিনিসপত্র। নিজস্ব চিত্র
জিয়াগঞ্জের পুরপ্রধানের উপরে হামলার অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মধু ঘোষ ও দীপক ঘোষ। তারা এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের খাতায় অভিযোগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে জিয়াগঞ্জের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন ক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ওই দুই দুষ্কৃতী পিস্তল উঁচিয়ে পুরপ্রধানকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের খপ্পর থেকে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর মণ্ডল।
তিনি জিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মধু ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কোনও আগ্নেযাস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
গত শুক্রবার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই ৯ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। পরের দিনই পুরপ্রধান হামলার মুখে পড়েন। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ১২ ঘন্টার বনধ্ পালন করেন এলাকার লোকজন। এ দিন শহরের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। পুরবাসীদের কথায়, ‘‘গত দেড় শতক ধরে শহরে কোনও অশান্তি হয়নি। শান্তির এই শহরে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হলে মানুষ মেনে নেবে না।’’
শঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘অনাস্থায় সই করেছেন এমন অনেক কাউন্সিলর এখন আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। অনাস্থা ভোটে আমার জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ সবের পিছনে দলের লালবাগ মহকুমা সভাপতি রাজীব হোসেনের মদত রয়েছে বলে শুনেছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজীব হোসেন বলেন, ‘‘দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে নিজের ইচ্ছায় পুরসভা চালাচ্ছেন শঙ্কর মণ্ডল। ফলে কাউন্সিলরেরা ক্ষুব্ধ। ফলে আমাকে কাউন্সিলরদের অনাস্থার দাবি মানতে হচ্ছে।’’
এ দিকে এলাকার লোকজনের দাবি, ধৃতেরা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয়ে গভীর রাত পর্যন্ত নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে থাকে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। এ দিন আবার পুরপ্রধানের উপরে হামলায় হওয়ায় রবিবার সকালে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এলাকার মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy